বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে আবার ‘এক দেশ এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) নীতি কার্যকরের পক্ষে তৎপরতা মোদী সরকারের। এই নীতি কার্যকরের দিশা খুঁজতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, আইন কমিশনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী । সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পাশাপাশি ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
কেন্দ্রের যুক্তি এর ফলে বিপুল অর্থের সাশ্রয় হবে। উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিতে গতিও বাড়বে। একটি ভোটার তালিকাতেই দু’টি নির্বাচন হওয়ায় ফলে সরকারি কর্মীদের তা তৈরির কাজের চাপ কমবে। এছাড়া প্রতিবার ভোটের সময় আদর্শ আচরণ বিধির লাগু হয়। এর ফলে বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে যায়। ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি চালু হলে সেই সমস্যা আর থাকবে না।
তবে এই ‘এক দেশ এক ভোট’ পদ্ধতির সমালোচনায় বিরোধী দলগুলি। মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী নেতারা। তাঁদের মতে, এই নীতি নিয়ে মোদী সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার উপর আঘাত আসবে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
খবর অনলাইনে আরও খবর পডুন
আজ শুরু ‘দুয়ারে সরকার’, মিলবে আরও ৪টি নতুন প্রকল্পের সুবিধা
পা দিয়ে আলু চটকাচ্ছেন ক্যান্টিন কর্মী! বিশ্ববিদ্যালয়ের রান্নাঘর থেকে ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিও