নয়া দিল্লি : চলতি বাজেট অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল কংগ্রেস সাংসদ রজনী অশোকরাও পাতিলকে। অভিযোগ, রাজ্যসভার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই সাসপেন্ড হতে হল কংগ্রেস সাংসদকে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতামত গ্রহণ করে কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।
জগদীপ ধনখড় বলেন, “গতকাল পাবলিক ডোমেনে, টুইটারে, এই কক্ষের কার্যপ্রণালী সম্পর্কিত একটি ভিডিয়োর প্রচার করা হয়েছে। রজনী অশোকরাও পাতিল এই অস্বস্তিকর কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। আমি এই ঘটনাটিকে গুরুতর ঘটনা হিসেবেই দেখেছি এবং প্রয়োজনীয় সবকিছু করেছি। নীতিগত দিক থেকে এবং সংসদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য বাইরের কোনও সংস্থার সহায়তা নেওয়া যাবে না। এক সংসদীয় বিশেষাধিকার কমিটি এই বিষয়টির তদন্ত করবে। সেই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা না দেওয়া পর্যন্ত রজনী পাতিল সাসপেন্ড থাকবেন।”
রাজ্যসভা থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার পর রজনী পাটিল বলেন, “আমরা গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাব বারবার থামিয়ে দিয়েছি। এর জন্য ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। এটা তাদের তৈরি কর্মসূচি। আমি এরকম কিছুই করিনি। কিন্তু, আমি কিছু না করা সত্ত্বেও আমাকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। আমি স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবার থেকে এসেছি। আমার সংস্কৃতি আমায় কোনওদিন আইন লঙ্ঘন করার শিক্ষা দেয়নি”।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ চলাকালীন বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নেমে স্লোগান দিচ্ছিলেন। রজনী অশোকরাও পাতিল রাজ্যসভার ভিতর থেকেই সেই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে টুইট করেছিলেন। বিষয়টি মোটেই ভালভাবে নেননি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আর সে কারণেই সাসপেন্ড করা হল কংগ্রেস সাংসদকে।