নয়া দিল্লি : ঠান্ডা যুদ্ধ লেগেই আছে ভারত-পাকিস্তানের। একটা সময় এই দুই দেশের লড়াইয়ের প্রকৃত কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সিন্ধু নদের জলবণ্টন। সালটা ১৯৬০। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহেরু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ আয়ুব খান। তাঁদের উপস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সিন্ধু জল চুক্তি।
দীর্ঘ সময় পর এই জল চুক্তি নিয়েই শুরু হল বিতর্ক। সম্প্রতিই এই চুক্তি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করার আগ্রহ দেখিয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার তারই প্রতিক্রিয়ায় কড়া জবাব দিল ভারত। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মেটানোর জন্য তৃতীয় কোনও পক্ষের প্রয়োজন নেই।
নয়া দিল্লির তরফে জানানো হয়, বিশ্ব ব্যাঙ্ক কোর্ট অব আর্বিট্রেশনে গিয়েছে, তা নিয়েও ভারত অত্য়ন্ত ক্ষুণ্ণ। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “ভারতের তরফে সিন্ধু জল চুক্তির কমিশনার গত ২৫ জানুয়ারিই নোটিস জারি করেছে। এই নোটিসে পাকিস্তানকে সরাসরি সরকারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”
সম্প্রতি পাকিস্তান দাবি তুলেছিল সিন্ধু জল চুক্তি পুনর্বিবেচনা ও পরিবর্তন করতে হবে। হস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে পাকিস্তান যে পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়, তার সাপেক্ষে ভারতও যথাযথ পদক্ষেপ করেছে।