ইজরায়েল-হামাস বিরোধের কারণে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই। এমনটাই জানালেন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
বৃহস্পতিবার দ্বাদশতম সিজিডি টেন্ডার রাউন্ডের সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তার প্রভাব অপরিশোধিত তেলের দামে প্রভাব ফেলেনি। তবে সরকার সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “অভ্যন্তরীণ বাজারে জনসাধারণের কাছে যে দামে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং আশা করি আর কোনো সমস্যা হবে না”।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, এক দিন আগেই মন্ত্রী বলেছিলেন, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন বিরোধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে। যা ভারতের সমগ্র অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, বৃহস্পতিবার তাঁর মন্তব্যে অনেকটাই আশ্বস্ত হওয়া গেল। কারণ, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও প্রায় ৩ শতাংশ কমেছে।
তাঁর মতে, অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে বিরোধ ছাড়া, সৌদি আরব এবং রাশিয়ার সরবরাহ হ্রাসের কারণে অপরিশোধিত তেলের দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তেলের অত্যধিক দাম অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে। যেমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ২০০৮ সাল। যখন দাম বৃদ্ধির কারণে চাহিদা কমে গিয়েছিল।
এখন বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছে, ইজরাইল-হামাস যুদ্ধ সীমিত থাকলে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে খুব একটা পরিবর্তন হবে না। কিন্তু যদি ইস্যুটি বিস্তৃত হয় এবং মিশর বা অন্যান্য দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তা হলে ছবিটা উল্লেখযোগ্য ভাবে বদলে যেতে পারে। কারণ, গত শনিবার প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইজরায়েলে রকেট নিক্ষেপের পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছিল ৪ শতাংশ। সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রভাব এড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ভারত কি কোনো ভাবে লাভবান হতে পারে?