মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের দলত্যাগের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
টিকামগড় বিধানসভা আসন থেকে রাকেশ গিরিকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ একাংশের কর্মীরা সোমবার কংগ্রেসে যোগ দেয়। বিজেপিত্যাগী নেতাদের আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানাচ্ছে কংগ্রেসও। ভোটের মুখে একশোর বেশি বিজেপি কর্মীকে সদস্যপদ দিল কংগ্রেস। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কারি নগর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি ছক্কী লাল কুশওয়াহা।
বিক্ষুব্ধদের দাবি, রাকেশকে প্রার্থী করায় গেরুয়া শিবিরের উপর বেজায় অসন্তুষ্ট তাঁরা। ২০০৮ সালে এই আসনেই উমা ভারতীকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তবে সে বার হেরে যান তিনি। উমা ভারতী প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং বর্তমান প্রার্থী যাদবেন্দ্র সিং বুন্দেলার কাছে পরাজিত হন। তবে এর পরে তাঁকেও পরপর দু’বার হারের স্বাদ নিতে হয়েছে।
টিকামগড় বিধানসভা আসন থেকে কংগ্রেস এ বারও প্রার্থী করেছে যাদবেন্দ্র সিংকে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, ৩৯ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনায় প্রকাশ, টিকামগড়ে টিকিট পেতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক কেকে শ্রীবাস্তব। কিনি টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা করেছেন। বিজেপি তাঁকে বোঝানোর পরেও কোনো কাজ হয়নি। এর পর দল তাঁকে ৬ বছরের জন্য প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করে। যদিও ইতিমধ্যেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন কেকে শ্রীবাস্তব।
সম্প্রতি বিজেপির তরফেও ৩৫ জন নেতাকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে, টিকামগড়ের একটা বড়ো অংশের কর্মী বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে বিজেপির কাছ থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসে, সেটাও দেখার।
আরও পড়ুন: রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন বসুন্ধরা রাজে? রাজস্থান নির্বাচনের আগে বড়ো ইঙ্গিত