বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাছতে লাগল দীর্ঘ সময়। রবিবার ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইকে বেছে নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। রাজনৈতিক মহলের মতে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ। কিন্তু বয়সের কারণে এবং রাজনৈতিক ভারসাম্যের অভাবে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে তাঁকে। বিষ্ণুর নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে স্পষ্ট যে, আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে প্রথম বারের জন্য কোনও আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন।
ছত্তীসগঢ়ে আদিবাসীদের উপস্থিতি মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর পরে তারা রাজ্যের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। এমন একটি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক ভাবে আদিবাসী এবং ওবিসি নেতাদের মধ্যে থেকেই কোনো একজনকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। কারণ, সামনে ২০২৪-এর লোকসভা ভোট।
তবে, রাজ্যের আদিবাসী এলাকায় দলের অভূতপূর্ব পারফরম্যান্সের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি আদিবাসীদের পক্ষেই গেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এ রাজ্যে আদিবাসীদের পছন্দের তালিকায় কখনও শীর্ষে ছিল না বিজেপি। সেই সমীকরণ আমূল বদলে দিয়ে আদিবাসী অধ্যুষিত সুরগুজা অঞ্চলের ১৪টি বিধানসভা আসন এবং বস্তারের ১২টি আসনের মধ্যে আটটি আসন দখল করতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।
সবমিলিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, লোকসভা ভোটের আগে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতেই বিষ্ণুকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিল পদ্মশিবির। রবিবার রায়পুরে দলের নবনির্বাচিত ৫৪ জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠকে বসেন পর্যবেক্ষকেরা। সেই বৈঠকেই বিষ্ণুর নামে সম্মতি জানান অধিকাংশ বিধায়ক।
আরও পড়ুন: বাড়ি-অফিস থেকে উদ্ধার ৩০০ কোটির পাহাড়! সাংসদকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস