আগরতলা: বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ ত্রিপুরায়। এ বারের ভোটে শাসক বিজেপি-র ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী বামফ্রন্ট শিবিরের লক্ষ্য পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসা। ময়দানে ‘কিং মেকার’ তিপ্রা মথা। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলও অন্যদের পিছনে ফেলতে নিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি।
এ বারের ভোটে শাসক বিজেপি ও তার সহযোগী আইপিএফটি বনাম বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেস জোট, তিপ্রা মথা, তৃণমূল কংগ্রেস, আমরা বাঙালি ও নির্দল প্রার্থীরা ভোট লড়াইয়ে নেমেছেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, একদা প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসকে ১৩টি এবং নির্দল প্রার্থীকে ১টি আসন ছেড়ে ৪৬টিতে লড়ছে বামেরা। কয়েকটি বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত, বিজেপির বিরুদ্ধে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট।
অন্য দিকে, আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্য দেববর্মা। ত্রিপুরার জনজাতির আদরের রাজা, ‘বুবাগ্রা’। তিনি তিপ্রা মথা-র মাথা। ইতিহাস বলছে, ত্রিপুরার নির্বাচনে সবসময়েই নির্ণায়ক ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করেছে ত্রিপুরার জনজাতির ভোট। যখন যে দিকে তাঁদের সমর্থন গিয়েছে, রাজনীতির ময়দানে তারাই পেয়েছে বাড়তি মাইলেজ। সে ক্ষেত্রে তিপ্রাই ‘কিং মেকার’ হতে পারে বলে মনে করছেন ভোট পণ্ডিতদের একাংশ।
এরই মধ্যে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে সন্ত্রাসের পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তবে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় সব রকমের পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ভোটগ্রহণ। গণনা আগামী ২ মার্চ। বুধবার আগরতলায় উমাকান্ত একাডেমিতে নির্বাচন কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে জানিয়েছেন, রেকর্ড হারে ভোট দিন সবাই। নিরাপত্তার কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ৩৩৩৭টি বুথে ভোট হবে। তার মধ্যে ১১০০ সংবেদনশীল ও ২৮টি ক্রিটিকাল বুথ রয়েছে। ২৮.১৩ লক্ষ ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে ১৩.৯৮ লক্ষ মহিলা ও ১৪.১৪ লক্ষ পুরুষ। তৃতীয় লিঙ্গের ৭৭ জন ভোটার রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধি থেকে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে একগুচ্ছ বড়ো ঘোষণা রাজ্যের