আগরতলা: বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় সব রকমের পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দানের হার ১২.৭৬ শতাংশ।
সব মিলিয়ে ৩৩৩৭টি বুথে ভোট হবে। তার মধ্যে ১১০০ সংবেদনশীল ও ২৮টি ক্রিটিকাল বুথ রয়েছে। ২৮.১৩ লক্ষ ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে ১৩.৯৮ লক্ষ মহিলা ও ১৪.১৪ লক্ষ পুরুষ। তৃতীয় লিঙ্গের ৭৭ জন ভোটার রয়েছেন।
আগের দিন আগরতলায় উমাকান্ত একাডেমিতে নির্বাচন কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে জানিয়েছেন, রেকর্ড হারে ভোট দিন সবাই। নিরাপত্তার কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ৩১ হাজার কর্মীর পাশাপাশি অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রায় ২৫ হাজার জওয়ান এবং অফিসারকে।
এ বারের ভোটে শাসক বিজেপি ও তার সহযোগী আইপিএফটি বনাম বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেস জোট, তিপ্রা মথা, তৃণমূল কংগ্রেস, আমরা বাঙালি ও নির্দল প্রার্থীরা ভোট লড়াইয়ে নেমেছেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, একদা প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসকে ১৩টি এবং নির্দল প্রার্থীকে ১টি আসন ছেড়ে ৪৬টিতে লড়ছে বামেরা। কয়েকটি বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত, বিজেপির বিরুদ্ধে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট।
অন্য দিকে, আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্য দেববর্মা। ত্রিপুরার জনজাতির আদরের রাজা, ‘বুবাগ্রা’। তিনি তিপ্রা মথা-র মাথা। ইতিহাস বলছে, ত্রিপুরার নির্বাচনে সবসময়েই নির্ণায়ক ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করেছে ত্রিপুরার জনজাতির ভোট। যখন যে দিকে তাঁদের সমর্থন গিয়েছে, রাজনীতির ময়দানে তারাই পেয়েছে বাড়তি মাইলেজ। সে ক্ষেত্রে তিপ্রাই ‘কিং মেকার’ হতে পারে বলে মনে করছেন ভোট পণ্ডিতদের একাংশ।
আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধি থেকে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে একগুচ্ছ বড়ো ঘোষণা রাজ্যের