সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুক্রবার অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবির মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এটি সাম্প্রতিক কালের অন্যতম ক্ষোভ-বিক্ষোভে উত্তাল অধিবেশন। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে অধিবেশনের কার্যকারীতায় বড় পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, অধিবেশনে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিল পেশ করা হয় এবং সংবিধানের ৭৫ বছরের গৌরবময় যাত্রা নিয়ে দুই দিনের বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তবে পুরো অধিবেশন মাত্র অর্ধেক সময় কার্যকর ছিল। লোকসভা নির্ধারিত সময়ের ৫৭% এবং রাজ্যসভা ৪৩% কাজ সম্পন্ন করেছে।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাঁর সাধারণ সমাপ্তি ভাষণ না দিয়ে অধিবেশনের শেষ দিনে প্রতিবাদী সাংসদদের কড়া সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন,“পার্লামেন্ট চত্বরে কোথাও প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ করা অনুচিত। এটি নিয়মবহির্ভূত এবং ভবিষ্যতে এমন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিন মিনিটের মধ্যেই অধিবেশন মুলতুবি করে তিনি ‘বন্দে মাতরম’ বাজানোর নির্দেশ দেন। স্পিকারের ঐতিহ্যবাহী চা-চক্রেও বিরোধী নেতারা যোগ দেননি, ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক ছবিও প্রকাশ পায়নি।
PRS লেজিসলেটিভ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ১৮তম লোকসভার প্রথম ছয় মাসে মাত্র একটি বিল পাশ হয়েছে, যা গত ছয় টার্মের মধ্যে সর্বনিম্ন। শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রায় হয়নি বলা চলে। রাজ্যসভায় ১৯ দিনের মধ্যে ১৫ দিন প্রশ্নোত্তর পর্ব বন্ধ ছিল। লোকসভায় ২০ দিনের মধ্যে মাত্র আট দিন ১০ মিনিটের বেশি সময় চলেছে।
অধিবেশনের শেষ দিকে হৈহট্টগোলে দুই বিজেপি সাংসদ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় তাঁর সমাপ্তি বক্তব্যে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সংসদীয় শালীনতা পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান।