নয়াদিল্লি: আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০২৩-২৪ কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget 2023-24) বড়ো ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Sitharaman)। এর মধ্যে পরিকাঠামো এবং কৃষি খাতে বিশাল মূলধন ব্যয় এবং মধ্যবিত্তের জন্য স্বস্তির জন্য আয়করের স্ল্যাবগুলির পুনর্নির্মাণ অন্যতম।
অগ্রাধিকার ৭টি ক্ষেত্রে
২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে সাতটি ক্ষেত্রকে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, এগুলি হল “দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, পরিকাঠামো এবং বিনিয়োগ, সম্ভাবনা, কৃষি বৃদ্ধি, যুব শক্তি এবং আর্থিক ক্ষেত্র”।
বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে, মূলধন বিনিয়োগের পরিধি ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত করা হবে, যা হবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপির ৩.৩ শতাংশ।
ব্যাপক স্বস্তি আয়করে
আয়করে ব্যাপক ছাড়ের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, নতুন কর কাঠামোয় (new income tax regime) আয়কর আইনের ধারা ৮৭এ-র অধীনে রিবেট ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি, মৌলিক ছাড়ের সীমা (Basic exemption limit) ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। ৩-৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ আয়কর। ৬-৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১০ শতাংশ আয়কর। কারও বছরে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ৪৫ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। যা আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম। যাঁর ১৫ লক্ষ টাকা বাৎসরিক আয় তাঁকে দেড় লক্ষ টাকা কর দিতে হবে। আগে দিতে হতো ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা। বছরে আয় যদি ১৫ লক্ষ টাকার বেশি হয় তা হলে ৩০ শতাংশ হারে দিতে হবে কর।
বাড়ল ঊর্ধ্বসীমা ও ব্যয়
প্রবীণ নাগরিকদের জন্যও একটি বড়ো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এ বারের বাজেটে। মান্থলি ইনকাম স্কিম (MIS) এবং সিনিয়র সিটিজেনস সেভিং স্কিমের (SCSS) জন্য বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাও বাড়ানো হয়েছে।
কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্য একটি জনপ্রিয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য বরাদ্দ ৬৬ শতাংশ বেড়ে ৭৯,০০০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
রেলের জন্য, ২.৪ লক্ষ কোটির ব্যয় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যা প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং গত বছরের বাজেটের চারগুণ। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের শেষ বছরের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “এটি ২০১৩-১৪ সালের ব্যয়ে বরাদ্দের প্রায় ন’গুণ”।