বুধবার ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এ বারের বাজেটে শিশুদের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য আর্থিক সংস্থান প্রসঙ্গে চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ (ক্রাই)-র পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্ত্রী তৃণা চক্রবর্তী বলেন, “এ বারের বাজেট কোভিড-পরবর্তী সময়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নের পথ ও রূপরেখা নির্ধারণে, এবং দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, কিন্তু শিশুরা, যারা সংখ্যায় দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, এই বাজেটে তাদের আশা পূরণ হয়নি”।
বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি প্রসঙ্গে তৃণা বলেন, “শিশুশিক্ষা ও শিশুস্বাস্থ্য খাতে বাজেটে কিছু আশার কথা অবশ্যই রয়েছে, যদিও ‘মিশন বাৎসল্য’ খাতে বাজেট বরাদ্দ আগের বছরের তুলনায় একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মিশন বাৎসল্যয় অর্থবরাদ্দ ছিল ১,৪৭২ কোটি ১৭ লক্ষ (বিই), এ-বছরও সেই বরাদ্দে কোনও বৃদ্ধি ঘটেনি। সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি, পোষণ ২.০ এবং পিএম পোষণ খাতে বৃদ্ধি হয়েছে গত বাজেটের তুলনায় মাত্র ১.৪৪ শতাংশ – গতবছর যেখানে বরাদ্দ ছিল ১৭,২২৩ কোটি টাকার কিছু বেশি, সেখানে এবারের বরাদ্দের পরিমাণ ১৭,৪৭১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। সমগ্র শিক্ষা অভিযান খাতেও বৃদ্ধি মাত্র ০.১৯ শতাংশ, অঙ্কের হিসেবে মাত্র ৭০.১১ কোটি টাকা”।
তিনি আরও বলেন, “সামগ্রিক ভাবে এবারের বাজেটের মোট বরাদ্দ যদিও গত বাজেটের তুলনায় ১৪ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে, এবং শিশুদের জন্য মোট বরাদ্দের পরিমাণ যদিও অঙ্কের হিসেবে গতবারের তুলনায় ১১,০৫৪.২০ কোটি টাকা বেশি, কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, এবারের মোট বাজেটের মাত্র ২.৩০ শতাংশ শিশুদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে, যেখানে গত বছর মোট বাজেটের ২.৩৫ শতাংশ বরাদ্দ ছিল শিশুদের জন্য। এমনকী জিডিপি-র সাপেক্ষেও যদি দেখা যায়, গতবছরের বাজেটে শিশুদের জন্য বরাদ্দ ছিল জিডিপি-র ০.৩৬ শতাংশ, এবার তা আরও কমে দাঁড়িয়েছে জিডিপি-র ০.৩৪ শতাংশে”।
“সব মিলিয়ে, দেশের পিছিয়ে পড়া ও সমাজের প্রান্তিক শিশুদের উন্নয়নে এ বাজেট পর্যাপ্ত নয়” বলেই মনে করেন তৃণা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৩: সস্তা হচ্ছে মোবাইল, টিভি! বাড়ছে জামাকাপড়ের দাম