নির্বাচনী তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ায় আধারকে চূড়ান্ত নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না — বিহারের চলমান ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে মঙ্গলবার এই অবস্থান স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সুর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানিতে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল, আরজেডি নেতা মনোজ ঝার পক্ষে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ জানান, আধার, রেশন কার্ড, ইপিক কার্ড (ভোটার আইডি) থাকা সত্ত্বেও এগুলোকে কোনও কিছুর চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে না। তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রে মৃত বলে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের জীবিত পাওয়া যাচ্ছে এবং উল্টো ঘটনাও ঘটছে।
বিচারপতি কান্ত পর্যবেক্ষণ করেন, এই ধরনের নথি “সৎভাবে দেখাতে পারে আপনি ওই এলাকার বাসিন্দা”, কিন্তু এগুলোকে নিরঙ্কুশ প্রমাণ ধরা যাবে না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন ও বিরোধীদের মধ্যে “বিশ্বাসের ঘাটতি” থাকাই এই প্রক্রিয়ায় জটিলতার মূল কারণ।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাকেশ দ্বিবেদী জানান, এত বড়সড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় কিছু ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক, তবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে (৩০ সেপ্টেম্বর) ভুল সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১ আগস্ট প্রকাশিত খসড়া তালিকা ঘিরে বিরোধী দলগুলি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, লক্ষ লক্ষ যোগ্য ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন। এর আগে ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করেছিল, যদি “ব্যাপক হারে ভোটার বাদ পড়া” ঘটে, তবে আদালত সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করবে।
এই মামলায় আরজেডি, তৃণমূল, কংগ্রেস, এনসিপি (শরদ পওয়ার), সিপিআই, সপা, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, সিপিআই (এমএল) সহ পিইউসিএল, এডিআর ও সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব একযোগে নির্বাচন কমিশনের ২৪ জুনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।