Home খবর দেশ পার্বত্য রাজ্যে তুষারপাত, সমতলে বৃষ্টি! বাংলাতেও শীতের আগমনী বার্তা

পার্বত্য রাজ্যে তুষারপাত, সমতলে বৃষ্টি! বাংলাতেও শীতের আগমনী বার্তা

0
শীতের সময় কলকাতা। ছবি: রাজীব বসু

নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাতের কারণে তাপমাত্রার পারদ পতন। লাদাখের দ্রাস সোমবার মরশুমের প্রথম তুষারপাত দেখেছে। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৫.৮ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।

পার্বত্য রাজ্যে তুষারপাত

জম্মু ও কাশ্মীরে, পাহাড়ে তুষারপাত এবং নিম্নাঞ্চলে সোমবার দিনভর বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। সাদা তুষারে ভরে গিয়েছে পিরপিঞ্জল পাহাড় থেকে জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকা। বলা যায়, চলতি বছরের প্রথম তুষারপাত হয়েছে কাশ্মীরে। যা দেখে বিস্মিত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও। শুধু তুষারপাত নয়, বইছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। তুষারপাতের কারণে কাশ্মীরকে পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলার সঙ্গে সংযোগকারী মুঘল রোডটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। গুরেজ-বান্দিপোরা এবং কুপওয়াড়া-কারনাহ সড়ক টানা তৃতীয় দিনের জন্য বন্ধ ছিল।

উত্তরাখণ্ডের চার ধামের পাশাপাশি উঁচু অঞ্চলেও ভালো তুষারপাত হয়েছে। যখন নিম্নাঞ্চলগুলি বৃষ্টিতে ভিজেছে, সঙ্গে ছিল ঝড়ো হাওয়া। বদরীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামে তুষারপাতের কারণে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্যের নীচে পৌঁছেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, প্রচণ্ড শীত সত্ত্বেও পুণ্যার্থীদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। তুষারপাত উপভোগ করে তীর্থযাত্রীরা দিনভর দর্শনের জন্য আসতে থাকেন। চারধাম যাত্রা এখন বেশ মসৃণ!

বৃষ্টিতে ক্ষতি ফসলের

পঞ্জাব ও হরিয়ানা-সহ বিভিন্ন সমতল এলাকায় বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা বর্ষণে অনেক জায়গায় ধানের শীষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং বাজারে রাখা ধান ভিজেও গেছে। পঞ্জাবে রবি ও সোমবারের বৃষ্টির কারণে পাকা ধান ক্ষেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং বাজারের হাজার হাজার টন ধানও ভিজে গেছে। রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের মন্ডিগুলিতে ২৩.৯০ লক্ষ টন ধান এসেছিল। ১৫.৬৬ লক্ষ টন ধান মন্ডিতে পড়ে আছে। এ ধানের বেশির ভাগই ভিজে গেছে।

হরিয়ানায়, হিসার এবং সিরসা-সহ অনেক জেলায় প্রবল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। কাইথাল এবং ফতেহাবাদে ভারী শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ভিজে গেছে বাজারে আসা লক্ষ লক্ষ টন ধান। কুরুক্ষেত্রে চার ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সর্বোচ্চ ২১.৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্য দিকে, জোরে হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির কারণে জম্মু ও আশেপাশের এলাকায় বাসমতি ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে মাঠে থাকা ধানের উপরেও।

মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী ২৪ ঘন্টা তামিলনাড়ু এবং কেরল ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

বাংলায় কবে থেকে নামবে পারদ

এ দিকে, বাংলাতেও ঠান্ডার আগমনী বার্তা মিলেছে আবহাওয়া দফতর সূত্রের। জানা গিয়েছে, পুজোর সময় শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় নবমী ও দশমীতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে শুরু করবে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা ও শুকনো হাওয়া প্রবেশ করবে বাংলায়। উত্তুরে ঠান্ডা বাতাসও ঢুকবে বাংলায়। ফলে ২০ অক্টোবরের পর থেকে তাপমাত্রা অনেকটা কমবে। অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে রাতে শীত শীত অনুভূত হবে।

আরও পড়ুন: গগনযান মিশন: পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময়সূচি ঘোষণা করে দিল ইসরো

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version