নয়াদিল্লি: গত সপ্তাহে সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় এই প্রথম মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঘটনাকে “খুবই গুরুতর” আখ্যা দিয়ে রবিবার তিনি বললেন, “তর্ক করার দরকার নেই, এর বিশদ তদন্ত করা উচিত”।
গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর), সংসদে ২০০১ সালের সন্ত্রাসবাদী হামলার বার্ষিকীতে একটি বড়সড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন ঘটে। লোকসভার কাজ চলাকালীন বেলা ১টা নাগাদ দর্শক গ্যালারি থেকে দু’জন ঝাঁপিয়ে পড়েন অধিবেশন কক্ষের ভিতরে। এর পর তাঁরা সঙ্গে থাকা হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে দেন। আতঙ্ক দেখা দেয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে। যা নিয়ে এখনও শাসক-বিরোধী তরজা অব্যাহত।
দৈনিক জাগরণ পত্রিকাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা খুবই গুরুতর একটা ঘটনা। এটকে ছোটো করে দেখা ঠিক হবে না। লোকসভার স্পিকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিষয়টি তদন্ত শুরু করছে। এর পিছনে কী বা কারা রয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী, তা খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”।
সংসদে এ ধরনের চূড়ান্ত নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য বিরোধীরা সরকারের সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতিও দাবি করেছে। গতকাল (শনিবার) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতির কারণে ভারতের যুবকরা কাজ পাচ্ছেন না। পুরো ঘটনা পিছনে অন্যতম কারণ বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি। শুধু রাহুল নন, বিরোধী দলের নেতারা এই ইস্যুতে নিশানা করছেন কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি-কে। তবে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা নিয়ে বিতর্ক করার দরকার নেই, এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত”।
প্রসঙ্গত, সংসদ-কাণ্ডে ধৃত চার জন হলেন ডি মনোরঞ্জন, সাগর শর্মা, নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে। নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেঙে সংসদের অধিবেশন কক্ষে ঢুকে দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়ে ধোঁয়া ছড়ানোর জন্য ধরা হয়েছে মনোরঞ্জন ও সাগরকে। আর নীলম এবং অমলকে গ্রেফতার করা হয়েছে সংসদ ভবনের বাইরে ধোঁয়ার ক্যানেস্তারা খোলার জন্য। পরবর্তীতে গ্রেফতার ললিত ঝা’কে সংসদে স্মোক-ক্যান হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে দাবি করছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন: সংসদ-কাণ্ডে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী, জানালেন নেপথ্যে কী কারণ