নয়াদিল্লি: সংসদে দাঁড়িয়ে অসংসদীয় শব্দের প্রয়োগের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। তাঁর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় বিজেপি। নিজের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন সাংসদ। সব মিলিয়ে ফের এক বার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়!
বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাষী হিসাবেই পরিচিত মহুয়া। রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবের সময় তিনি অভিযোগ তোলেন, এক ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে সঙ্গী হন এবং তাঁর হাতেই সরকারের রিমোট কন্ট্রোল থাকে। তা কেন থাকে? এ ছাড়াও সরাসরি পেগাসাস থেকে সাম্প্রতিক মোদীকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্রের প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর কথায়।
বিগত কয়েকদিন ধরেই ‘আদানি’ ইস্যুতে বারংবার মুলতুবি হয়েছে সংসদ অধিবেশন। মঙ্গলবারও এই ইস্যুতে ঝড়ের সাক্ষী হয় সংসদ। তবে অন্য একটি ইস্যু নিয়ে বলতে গিয়ে অসংসদীয় ভাষার প্রয়োগ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। অভিযোগ, লোকসভায় বক্তব্য চলাকালীন এই অসংসদীয় শব্দের প্রয়োগ করেন তৃণমূল সাংসদ।
সূত্রের খবর, বিজেপি সাংসদদের শোরগোলে বিরক্ত হয়ে আসনে বসে পড়তে যান মহুয়া। তখনই না কি তিনি একটি অসংসদীয় শব্দ উচ্চারণ করেন। বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির পক্ষে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেন মহুয়া। তাঁর মাইক অন থাকায় সেই অসংসদীয় শব্দ শুনতে পান সংসদীয় অধিবেশনে উপস্থিত সকলেই। এর পরে বিজেপি সাংসদরা তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। পরে তিনি নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
মহুয়ার শব্দচয়ন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী হেমা মালিনী (Hema Malini)। মহুয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে হেমা মালিনী বলেন, “ওঁদের নিজেদের জিভের উপরে আগল থাকা উচিত। অতিরিক্ত উত্তেজিত ও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লে চলবে না। সংসদের প্রত্যেক সদস্য একজন সম্মাননীয় ব্যক্তি”।
এই বিতর্কে মুখ খুলে বুধবার মহুয়া অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, “আমি যা বলেছি তা রেকর্ডে নেই। আমি এইটুকুই বলতে পারে, আমি আপেলকে আপেলই বলব। কমলালেবু নয়। আমাকে যদি বিশেষাধিকার কমিটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয় আমি আমার বক্তব্যের সপক্ষে যা বলার বলব”।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আবারও সুদের হার বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, বাড়বে ঋণের ইএমআই