Homeদিবস২৬ জানুয়ারি কেন সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়?

২৬ জানুয়ারি কেন সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়?

প্রকাশিত

ভারতীয় সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর। ২৯৯ সদস্যের একটি গণপরিষদ এই সংবিধান খসড়া তৈরির দায়িত্বে ছিল। অবশেষে এটি গৃহীত হয় ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর।

তবে খসড়া তৈরি এবং গৃহীত হওয়ার তারিখ নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে মনে রাখা দরকার, এটি আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যকর হয়েছিল ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। এই দিনটিতেই ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্রে পরিণত হয়। এ বছর, ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত উদযাপন করবে ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবস।

অনেকে মনে করেন সংবিধান গৃহীত হওয়ার বছর, অর্থাৎ ১৯৪৯ থেকে গণনা করা উচিত। কিন্তু প্রকৃত তাৎপর্য নিহিত রয়েছে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারির দিনটিতে, যখন এটি কার্যকর হয়েছিল। এটি জাতীয় গর্বের দিন, যা দেশজুড়ে দেশপ্রেমের আবেগে উদযাপন করা হয়।

কেন উদযাপন করা হয় সাধারণতন্ত্র দিবস?

প্রতিবছর ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হওয়ার স্মরণে সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়।

এই দিনটি ভারতকে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্রে রূপান্তরের প্রতীক। এটি ন্যায়, স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বের জাতীয় নীতিগুলির প্রতিষ্ঠা স্মরণ করায়।

২৬ জানুয়ারি দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল ১৯৩০ সালে পূর্ণ স্বরাজ (পূর্ণ স্বাধীনতা)-এর ঘোষণা উদযাপনের জন্য। সাধারণতন্ত্র দিবস ভারতের ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতীক।

ভারতীয় সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যরা কারা ছিলেন?

১৯৪৭ সালে গঠিত ভারতীয় সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যরা হলেন:

  • ড. বিআর. অম্বেডকর (চেয়ারম্যান): সংবিধানের প্রধান স্থপতি
  • আল্লাদি কৃষ্ণস্বামী আইয়ার: বিশিষ্ট আইনজীবী এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ
  • এন গোপালস্বামী আইয়ঙ্গার: রাজনীতিবিদ এবং কূটনীতিক
  • কেএম মুনশি: স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং লেখক
  • সৈয়দ মহম্মদ সাদুল্লা: অসমের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
  • বি.এল. মিটার: সংবিধান বিশেষজ্ঞ (মৃত্যুর পর এন মাধব রাও স্থলাভিষিক্ত হন)
  • ডিপি খৈতান: আইনজ্ঞ (মৃত্যুর পর টিটি কৃষ্ণমাচারি স্থলাভিষিক্ত হন)
  • টি.টি. কৃষ্ণমাচারি: অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদ
  • এম. আনন্দসায়নম আইয়ঙ্গার: বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী

২৬ জানুয়ারি কেন সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়?

ভারত ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা অর্জন করলেও তখনও এটি উপনিবেশিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত হত। সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর এবং প্রায় তিন বছর ধরে তা চূড়ান্ত করা হয় ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর।

তবে ১৯৩০ সালের পূর্ণ স্বরাজ ঘোষণাকে সম্মান জানাতে এটি কার্যকর করা হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। সেই থেকেই ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে।

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বীরভূমে পাথর খাদানে ধস, মৃত্যু ৬ শ্রমিকের; আহত ৫

বীরভূমের পাথর খাদানে ধস নেমে মৃত্যু হল অন্তত ৬ জন শ্রমিকের। আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।

দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে দিনে দুপুরে রক্তারক্তি, ছুরিকাঘাতে মৃত এক ছাত্র

দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে ছাত্রদের মধ্যে বচসা গড়াল রক্তারক্তিতে। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত এক ছাত্রের মৃত্যু। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা।

দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি ফেরাতে স্মার্টগ্লাসের চিপ বানালেন আইআইটি ধানবাদের গবেষকরা

দৃষ্টিহীনদের জন্য স্মার্টগ্লাসে ব্যবহারযোগ্য দেশীয় চিপ তৈরি করলেন আইআইটি ধানবাদের গবেষকরা। সম্পূর্ণ ভারতেই তৈরি এই APEC 1 চিপ আত্মনির্ভর ভারতের প্রযুক্তির বড় সাফল্য।

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ছ’মাসে তদন্ত শেষের নির্দেশ, অয়ন শীলের জামিনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ছ’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। অভিযুক্ত অয়ন শীলের জামিনের আবেদন খারিজ, ছ’মাস পরে ফের আবেদন করা যাবে।

আরও পড়ুন

‘উই ফুল ইউ’ পোস্টারে মোদি-শাহ-যোগী, সমালোচনার ঝড়ে আইআইটি বম্বের কর্মশালা

দক্ষিণ এশিয়ার পুঁজিবাদ নিয়ে কর্মশালার পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী মোদি, অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে বিতর্ক। IIT Bombay-সহ আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ইভেন্ট ঘিরে সমালোচনা তুঙ্গে।

অক্টোবরে দেশজুড়ে শুরু ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন, দুই দশকের পর ফের উদ্যোগ বাংলায়

পুজোর মরসুম শেষে অক্টোবরে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (SIR)। ২০০২ সালের পর ফের পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আধার কার্ড এবার পরিচয়পত্র হিসাবে গ্রহণযোগ্য।

দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত এনডিএ প্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণণ, শুভেচ্ছা জানালেন প্রাক্তন ধনখড়

৪৫২ ভোটে জয়ী হয়ে দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হলেন সি পি রাধাকৃষ্ণণ। বিরোধী প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি পেলেন ৩০০ ভোট। তামিলনাড়ুর তৃতীয় নেতা হিসেবে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে পৌঁছলেন তিনি।