রাজ্যে আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে কোনও মন্তব্য না করেই, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার সল্টলেকের বিজেপির ‘সদস্য সংগ্রহ অভিযান’ কর্মসূচির সূচনা করে শাহ একাধিক প্রসঙ্গ তোলেন, যেখানে বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে পরিবর্তন আনার কথাও তুলে ধরেন। তবে উপনির্বাচন নিয়ে কোনও মন্তব্য না করে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল সৃষ্টি করেছেন তিনি।
আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। ওই ছয়টি আসনের বিধায়কেরা সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় এই আসনগুলোতে উপনির্বাচন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই কেন্দ্রগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে তৃণমূল এবং মাদারিহাটে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। রাজ্যের সাধারণ কর্মীরা আশা করেছিলেন যে, শাহ উপনির্বাচনের আগেই কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিশেষ বার্তা দেবেন। তবে শাহের বক্তৃতায় উপনির্বাচনের কোনও প্রসঙ্গ না আসায় বিজেপির কর্মীদের একাংশ কিছুটা অবাকই হয়েছেন।
অমিত শাহ তাঁর বক্তৃতায় তৃণমূল সরকারের ‘অপশাসন’ এবং ‘দুর্নীতি’ নিয়েও কঠোর মন্তব্য করেন। আরজি কর মেডিকেল কলেজে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে শাহ দাবি করেন যে, “২০২৬ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ হবে।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “রাজ্যে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করতে পারলে বিজেপি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে শাহের আক্রমণও ছিল সরাসরি।
পড়ুন: ‘স্টপ, থিঙ্ক, টেক অ্যাকশন’, ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
শাহের বক্তৃতা শেষে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব যেমন সুকান্ত মজুমদার, মিঠুন চক্রবর্তী এবং শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। মিঠুন জানান, “লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আমাদের জন্য হতাশাজনক হলেও ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে আমরা রাজ্যে বিজেপি মসনদ দখল করব।”
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যে আসন্ন উপনির্বাচনের বিষয়ে শাহের নীরবতা একটি কৌশল হতে পারে। তিনি হয়তো রাজ্য নেতৃত্বকে আড়ালে পরামর্শ দিয়েছেন, তবে প্রকাশ্যে এই বিষয়ে মন্তব্য এড়ানো দলের কৌশলগত একটি সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে।