Home খবর রাজ্য ভারতীয় মৎস্যজীবীদের লাঠিপেটা করা হয়েছে বাংলাদেশে, গুরুতর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

ভারতীয় মৎস্যজীবীদের লাঠিপেটা করা হয়েছে বাংলাদেশে, গুরুতর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

গঙ্গাসাগরে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের জেলে বন্দি থাকা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের মৎস্যজীবীদের জেলে লাঠিপেটা করা হয়েছে। ফলে কয়েকজনের কোমর থেকে পা পর্যন্ত চোট রয়েছে।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে মুক্ত করে আনতে পেরেছি। তাঁদের অনেকে আহত অবস্থায় রয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তবে এক মৎস্যজীবী, ভয়ে লাফ দিয়ে মারা যান। তাঁর পরিবারকে আমরা ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছি। মুক্তিপ্রাপ্ত মৎস্যজীবীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা দুই দেশের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। কিন্তু মৎস্যজীবীরা পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের সুরক্ষার জন্য আমরা একটি বিশেষ কার্ড চালু করেছি, যার মাধ্যমে তাঁদের অবস্থান ট্র্যাক করা যায়। এই উদ্যোগের ফলে আমরা জানতে পারি যে তাঁরা কোন জায়গায় আটক রয়েছেন এবং মুক্তির জন্য উদ্যোগ নিতে পারি।”

মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করেন মৎস্যজীবীদের, “জলের মধ্যে অনেক সময় সীমানা বুঝতে না পারলেও, মহাজন ও ট্রলার মালিকদের বলব যাতে সীমানা অতিক্রম না করা হয়। এতে দুই দেশের মধ্যে অশান্তি এড়ানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশের ট্রলার এখানে ঢুকে গেছিল। তাঁদের আমরা চিকিৎসা করাই, যত্ন করে রেখেছিলাম। তখন ওঁরা বুঝতে পেরেছে।”

এছাড়াও, মৎস্যজীবীদের কল্যাণে রাজ্য সরকারের নেওয়া ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন মমতা। তিনি জানান, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লক্ষ মৎস্যজীবী উপকৃত হবেন।”

মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ দুই দেশের সম্পর্কের উপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version