ফের লুপ লাইনে ঢুকে ট্রেন দুর্ঘটনা। এ বার বাঁকুড়ার ওন্দায় লুপ লাইনে দু’টি মালগাড়ির সংঘর্ষ। রবিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফিরে এল কয়েক সপ্তাহ আগে ওড়িশার বালেশ্বরের মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি।
রবিবার সাতসকালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িতে সজোরে ধাক্কা দিল অন্য একটি মালগাড়ি। এই সংঘর্ষের ফলে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ওয়াগনের উপর উঠে যায় অন্য মালগাড়ির ইঞ্জিন। ফিরল ওড়িশার বালেশ্বরের করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সেই রক্তাক্ত দুর্ঘটনার স্মৃতি।
ঘটনায় প্রকাশ, ওন্দা স্টেশনের লুপ লাইনে একটি মালগাড়ি দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। এদিকে সেই সময় ওই একই লাইনে আরও একটি মালগাড়ি বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিল। তখনই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িটির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
বিষ্ণুপুরের দিকে যাওয়া মালগাড়ির গতি বেশি থাকায় তার ইঞ্জিন অপর মালগাড়ির উপরে উঠে পড়ে। দুমড়ে মুচড়ে যায় একাধিক বগি। জানা গিয়েছে, দুই মালগাড়ির মোট ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে এই দুর্ঘটনার ফলে।
দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় লোকজন পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। স্থানীয়রাই দুই মালগাড়ির চালকদের উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে একটি মালগাড়ির চালক সামান্য আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার জেরে ছিঁড়ে যায় ওভারহেড তার। ফলে আদ্রা-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল সেফ্টি অফিসার দিবাকর মাঝি। দুর্ঘটনার কারণ কী এবং কীভাবে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রেলের তরফে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
এর পর দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মণীশ কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানিয়েছেন, সম্ভবত মালগাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাই সিগন্যাল দেখতে পাননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে হাওড়ার শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির সংঘর্ষে প্রায় ২৯১ জনের মৃত্যু হয়। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে: বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনা