বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছে। জায়গার অভাবে শ্রমজীবী বহু বিভাগ খুলতে পারছে না বলে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে হাসপাতাল সংলগ্ন সরকারি জমিতে প্রোমোটারের নজর পড়েছে বলে অভিযোগ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বেলুড় ইন্দো-জাপান কারখানা এবং গ্র্যান্ড স্মিথি কারখানা উঠে যাওয়ার পর আইনত ওই জমি সরকারের। ২০১০ সালে বাম সরকারের কাছে, পরে ২০১১ সালে বর্তমান সরকারের কাছে শ্রমজীবী হাসপাতাল ওই সরকারি খাস জমি তাদের দেওয়ার জন্য আবেদন করে। ওই জমিতে শ্রমজীবী একটি ৩০০ বেডের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তুলবে।
অভিযোগ, ১৯৯৭ সাল থেকেই প্রোমোটার ওই জমি গ্রাস করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি ভূমি দফতরের আমলারা প্রোমোটারকে মদত দিয়ে যাচ্ছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এ দিকে, হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ এবং প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রাথমিক পরামর্শ সরকার যাতে একটা অংশে শ্রমজীবী হাসপাতালের সঙ্গে দীর্ঘকালীন পরিকল্পনার প্রস্তুতি নেয়। একাংশের অভিযোগ, কিন্তু ভূমি দফতর এ ব্যাপারে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি এবং বাকি জমি প্রোমোটারের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।
বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা এপিডিআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, সারা দেশে কর্পোরেটের হাতে এবং স্থানীয় স্তরে জমি মাফিয়াদের হাতে জমি তুলে দিতে এ ধরনের জনবিরোধী পরিকল্পনা নিন্দনীয়। সংগঠনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর একটি প্রেস বিবৃতিতে জানান, “সাধারণ মানুষের স্বার্থে সরকারি অথবা খাসজমি ব্যবহারের লক্ষ্যে অবিলম্বে বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালের হাতে ওই জমি হস্তান্তরের দাবি জানাচ্ছি। বেলুড়ে এই দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকেও এপিডিআর পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে এবং সবাইকে এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন জানাচ্ছে।”