আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পুজোর ভ্রমণের মরশুম। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের লজগুলিতে একটিও রুম খালি নেই। পাহাড় থেকে ডুয়ার্স, তরাই কিংবা সমতল—সব মিলিয়ে ১৫টি সরকারি লজ এবারের দুর্গাপুজো এমনকী কালীপুজোতেও হাউসফুল। পর্যটন দপ্তর জানিয়েছে, বুকিং খোলার ১৮০ দিন আগেই সমস্ত রুম ভরে গিয়েছে। এখনও ফোনে বুকিং-এর অনুরোধ আসছে, কিন্তু কিছু করার নেই।
পর্যটন দপ্তরের প্রস্তুতি
অফ সিজনে পর্যটন দপ্তরের প্রতিটি লজে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের সঙ্গে ব্যবহার, পরিষেবা মান এবং আতিথেয়তা নিয়ে আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে। পাশাপাশি সংস্কারের কাজও সেরে নেওয়া হয়েছে। ডেপুটি ডিরেক্টর জ্যোতি ঘোষ জানান, গত বছর পরিষেবায় পর্যটকরা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এবারও তাদের অভিজ্ঞতা আনন্দময় করতে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খাবারে বাড়তি আকর্ষণ
পুজোর দিনগুলোতে লজগুলির খাবারেও থাকছে চমক। বাঙালিয়ানার ছোঁয়ায় সাজানো হবে খাবারের থালা। থাকছে স্থানীয় জনপ্রিয় পদ, বিশেষ করে তিস্তার বিখ্যাত সুস্বাদু বোরলি মাছ, যা লজগুলির বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়া উৎসবের দিনে বিশেষ মেনু থাকছে পর্যটকদের জন্য।
জনপ্রিয় লজগুলির চাহিদা তুঙ্গে
রাজ্য পর্যটন দপ্তরের অধীনে পাহাড়ে পাঁচটি লজ রয়েছে—দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং-এ। বাকি ১০টি লজ সমতলে, যার মধ্যে ডুয়ার্সের মূর্তি, বাতাবাড়ি, টিলাবাড়ি ও গজলডোবা লজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিশেষত মূর্তি নদীর ধারে তৈরি কটেজ, সবুজ লন এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে অন্যতম বড় আকর্ষণ।
সব মিলিয়ে এবারের পুজোর মরশুমে পর্যটকদের ভিড় সামলাতে এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা আনন্দদায়ক করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাজ্য পর্যটন দপ্তর।
আরও পড়ুন: দিঘায় পর্যটকদের জন্য ‘যাত্রীসাথী’ অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা চালু, অতিরিক্ত ভাড়া নিলে অভিযোগের সুযোগও