ভোটার তালিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। হাতে কাগজ বা প্রমাণপত্র না থাকলেও কোনও বৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না— এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিল কমিশন।
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বলাকা মঞ্চে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ কুমার আগরওয়াল, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক, এবং প্রায় ৫০০-রও বেশি বুথ লেভেল আধিকারিক (BLO)।
বিহারের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও এবার শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR)। তবে কমিশনের বার্তা স্পষ্ট, “গণহারে নাম ছেঁটে ফেলা যাবে না। আগে তথ্য যাচাই, তারপর সিদ্ধান্ত।”
২০০২ সালের তালিকাই হবে মূল ভিত্তি
কমিশন জানিয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের বৈধ ভোটার হিসেবেই ধরা হবে। সেই তালিকাকে প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে বাংলার এসআইআরের সময়।যাঁদের নাম ওই তালিকায় নেই, তাঁদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রামাণ্য নথি জমা দিতে হবে। তবে কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে—শুধু আধার কার্ডকে প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে না। আধার কার্ডের সঙ্গে অন্য কোনও নথির সংযোগ (লিঙ্ক) থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে ৬৮০ কোটি টাকা পেল বাংলা! খরচ হবে পঞ্চায়েত উন্নয়নে
বিএলওদের বিশেষ নির্দেশ
বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি বিএলওদের উদ্দেশে বলেন, “২০০২ সালের তালিকায় নাম না থাকলে, প্রমাণপত্র না থাকা ভোটারদের নাম সঙ্গে সঙ্গে বাদ দেবেন না। কেন নথি নেই, সেটি যাচাই করুন। প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।”
কমিশনের মতে, বিহারের এসআইআরের সময় প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবার বাংলায় আরও সতর্কভাবে কাজ করবে কমিশন।
সময়সীমা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি
বিহারে তিন মাসের মধ্যে এসআইআর শেষ হলেও বাংলায় তা কতদিন চলবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি সিইও মনোজ কুমার আগরওয়াল। তিনি বলেন, “কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না। সেটাই কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ। আধার কার্ড সংক্রান্ত আইন যা আছে, তা মেনেই কাজ করতে হবে। অসুবিধা হবে না।”