Home রাজ্য উঃ ২৪ পরগনা হাইকোর্টে কামদুনি রায়: ফাঁসিতে দণ্ডিত দু’জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, অন্যজন বেকসুর খালাস, অন্য...

হাইকোর্টে কামদুনি রায়: ফাঁসিতে দণ্ডিত দু’জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, অন্যজন বেকসুর খালাস, অন্য তিন দণ্ডিতও খালাস   

0

খবর অনলাইন ডেস্ক: কামদুনি ধর্ষণ এবং হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে দণ্ডিত ব্যক্তিদের সাজা কমে গেল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে। একজন দণ্ডিত ব্যক্তি বেকসুর খালাস পেলেন।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট কামদুনি ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি মোল্লা এবং আনসার আলির সাজা বদলে তাঁদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। নিম্ন আদালতে ফাঁসিতে দণ্ডিত আমিন আলি ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বেকসুর খালাস পেলেন।

নিম্ন আদালত ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিল। ১০ বছর জেল খাটার কারণে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তাঁরাও  খালাস পেলেন।           

২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। কামদুনি-কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে গেলে তাঁর সামনে প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চের রায় ঘোষণার পরে মৌসুমী জানান, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবেন। প্রয়োজন হলে দিল্লির নির্ভয়া-কাণ্ডের আইনজীবীর সাহায্য নেবেন।

নিম্ন আদালতের রায়

কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি যে চার্জশিট দেয় তাতে ন’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলা ওঠে কলকাতার নগর দায়রা আদালত তথা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। বিচার চলাকালীন গোপাল নস্কর নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিচারক সঞ্চিতা সরকার ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের শাস্তি ঘোষণা করেন। এঁদের মধ্যে সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি এবং আমিন আলিকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। বাকি তিন অপরাধী ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করের হয় আমৃত্যু কারাদণ্ড। প্রমাণের অভাবে খালাস পান অন্য দুই অভিযুক্ত রফিক গাজি এবং নুর আলি।

২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে সাজাপ্রাপ্তরা নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তাঁদের সাজা মকুব করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ডিসেম্বরে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছিল। শুক্রবার হল তার রায় ঘোষণা হল।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version