Home খবর রাজ্য হেরিটেজ স্বীকৃতির পথে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো, গবেষণায় নতুন আশা

হেরিটেজ স্বীকৃতির পথে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো, গবেষণায় নতুন আশা

Jagadhatri puja

এ বার কি হেরিটেজ স্বীকৃতি পেতে চলেছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলের যৌথ গবেষণায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এ নিয়ে বিশদ কাজ। আলো, শোলা কাজ, মূর্তি—সব কিছুতেই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো অনন্য, সেই ঐতিহ্যকেই আন্তর্জাতিক মানচিত্রে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, জগদ্ধাত্রী পুজো শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটি বহুভাষাভাষি মানুষের মিলনমেলা। এখানে শুধু দেবী আরাধনা নয়, আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে শিল্পকলা, সামাজিক আচার এবং সমবেত উৎসবের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে এক বিশেষ সংস্কৃতির ধারা। পূর্বতন ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগরের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও জড়িয়ে আছে এই উৎসবের সঙ্গে। ইউনেস্কোর মাপকাঠি মেনেই বিশদ গবেষণা চলছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রাহি সোরেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পুজোর সঙ্গে বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আদান-প্রদানের এক বড় জায়গা হয়ে ওঠে এই পুজো। শোলার কাজ থেকে শুরু করে আলো, সব ক্ষেত্রেই জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।”

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো। আজও সেই প্রাচীন রীতিনীতি মেনে দেবীর আরাধনা চলে আসছে। শুধু চন্দননগরেই নয়, নদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই পুজো হয় এবং বহু মানুষের সমাগম ঘটে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, দুর্গাপুজো এক বাঙালি গবেষকের হাত ধরেই ইউনেস্কোর ইন্টেনজেবেল কালচারাল হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেয়েছিল। এবার সেই পথেই কি এগোবে জগদ্ধাত্রী পুজো? উত্তর দেবে সময়, তবে চন্দননগরে ইতিমধ্যেই প্রত্যাশা তুঙ্গে।

দুর্গাপুজোর সব প্রতিবেদন পড়ুন এখানে

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version