কলকাতা: চলে এল আরেকটা নতুন বছর। ১৪৩১-কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবসেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা লেখেন, “সকলকে জানাই নববর্ষের আন্তরিক শুভনন্দন। প্রার্থনা করি, নববৈশাখের নবকিরণে উদ্ভাসিত হোক সকলের জীবন। শান্তি – সম্প্রীতি – মৈত্রী- ভালোবাসার বন্ধনে যুক্ত থাকুন বাংলার প্রতিটি মানুষ।”
রাজ্যবাসীকে বাংলা প্রতিষ্ঠা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল— পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবসে সকলকে জানাই শুভনন্দন।”
গত বছরই মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন, ‘বাংলা দিবস’ নিয়ে বিধানসভায় আনা প্রস্তাবে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলেও ১ বৈশাখ দিনটিই ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। এ ব্যাপারে তিনি আরও লেখেন, “আমাদের সরকারই পয়লা বৈশাখকে বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বাংলার মাটি, বাংলার জল” গানকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করেছে – এজন্য আমি গর্বিত। বাংলার ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি ও সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক আজকের এই দিনটি।”
প্রসঙ্গত, এ বার পয়লা বৈশাখে পালিত হচ্ছে বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস বা রাজ্য দিবস। ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে আবেদনও জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কমিশন অনুমতি দিতেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি।
এই প্রথম পালন হতে চলেছে এ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস। পয়লা বৈশাখে রাজ্য দিবস পালন করার জন্য রাজ্য সরকারের আবেদনে সায় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে কমিশনের তরফে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে, পয়লা বৈশাখের সরকারি ওই অনুষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকতে পারবেন না। লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখন আদর্শ আচরণবিধি জারি আছে। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। অনুষ্ঠানে থাকবেন না কোনও মন্ত্রী বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নববর্ষের দিন বিকালে রবীন্দ্রসদনের সামনে ক্যাথিড্রাল রোডে রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানে এই দিনটি পালন করা হবে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা।