কলকাতা: ফের ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবির রাজ্যে। প্রকল্পের দিনক্ষণ জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ বার বুথ স্তরে শিবির করবে রাজ্য সরকার।
কবে থেকে শুরু দুয়ারে সরকার
গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাওড়ার পাঁচলায় একটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন মাস অন্তর ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘোষণা মতোই এপ্রিলে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নবান্ন। জানানো হয়েছে, আগামী ১ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচির ষষ্ঠ দফার শিবির। ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে জনসংযোগ ও আবেদনপত্র গ্রহণের কাজ। আর ১১ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত আবেদনকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সার্টিফিকেট এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র। এর মধ্যে ছুটির দিন এবং রবিবারে কোনো শিবির হবে না।
কী কী পরিষেবা মিলবে শিবিরে
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ৩২টি সরকারি প্রকল্পের কাজ হবে আসন্ন ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য – খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, কৃষকবন্ধু, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৩ লাখ ৭১ হাজার ক্যাম্প করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৬ কোটি ৭৭ লক্ষ রাজ্যবাসী উপকৃত হয়েছেন।
টাস্ক ফোর্স গঠন
দুয়ারে সরকারে কোনও পরিষেবার জন্য আবেদন করলে তা যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয় তার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নবান্ন সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই টাস্ক ফোর্স গঠন করার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে মাথায় রেখে ২৩ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন করা হল। টাস্ক ফোর্সের সদস্য-সচিব করা হয়েছে পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথনকে। সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে পঞ্চায়েত দফতরের আরও পাঁচ আধিকারিককে। কৃষি, শিক্ষা, শ্রম-সহ ১৬টি দফতরের সচিবদেরও এই টাস্ক ফোর্সের সদস্য করা হয়েছে।
বুথ স্তরে দুয়ারে সরকার শিবির
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বার দুয়ারে সরকার শিবির হবে প্রায় প্রত্যেকটি বুথে। মূলত গ্রামীণ এলাকাতেই শিবিরের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি মেনে চলা হবে বলে জানা গিয়েছে। অনেকের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই এ বার বুথ স্তরে শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যাতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের মানুষের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সরাসরি সংযোগ গড়ে ওঠে। এবং সরকারি পরিষেবাও তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আজ গ্রুপ সি মামলার শুনানি, পড়ে নিন আরও ৪টি গুরুত্বপূর্ণ খবর