কলকাতা: রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়। এমনকী, রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের সরাসরি বাক্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার নজিরও রয়েছে একাধিক। বিশেষ করে, রাজ্যপালকে নিয়ে এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেসব ভুলে রবিবার, অষ্টমীর সকালে সুখিয়া স্ট্রিটে কুণালের পাড়ার পুজোয় হাজির হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যপালের যে ওই পুজোতে যাওয়া উচিত হয়নি, তেমনটাই দাবি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
মহাষ্টমীর সকালে সুকিয়া স্ট্রিটের রামমোহন সম্মিলনীর পুজোয় অঞ্জলি দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই পুজো কমিটির চেয়ারম্যান কুণাল ঘোষ। রবিবার সকাল সকাল রামমোহন সম্মিলনীর ঠাকুর দেখতে পৌঁছে যান রাজ্যপাল বোস। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষও। রাজ্যপাল গাড়ি থেকে নামার পর তাঁকে নিয়ে রামমোহন সম্মিলনীর মণ্ডপের ভিতরে ঢোকেন তৃণমূল মুখপাত্র। মণ্ডপের ভিতরের সাজসজ্জা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। পুজোর থিম ও ভাবনার কথা রাজ্যপালকে বুঝিয়ে দেন কুণাল। রামমোহন সম্মিলনীর মণ্ডপে অষ্টমীর অঞ্জলিও দেন বোস।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা-র রিপোর্ট অনুযায়ী, অষ্টমীর বিকালে নন্দীগ্রামে পুরোহিত ও নাপিত সম্প্রদায়ের হাতে সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদান করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুখিয়া স্ট্রিটের রামমোহন সম্মিলনীতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসের যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু আপত্তি জানান। তিনি বলেন, “উনি ব্যক্তিগতভাবে যেতেই পারেন। কিন্তু, ওঁর একটা পদমর্যাদা রয়েছে। সেটা ভাবা উচিত ছিল।”
এখানেই না থেকে শুভেন্দু আরও জানান, রাজ্যপাল তাঁর কাছে পরামর্শ চাইলে তিনি বেলুড় মঠে গিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিতে বলতেন। কিন্তু, রাজ্যপাল যেখানে গিয়েছেন সেখানে সারদার টাকা জলে গিয়েছে। তাই ওখানে রাজ্যপালের যাওয়া ঠিক হয়নি বলে জানান শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে কুণাল ঘোষকে। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করছেন বলে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন বহুবার। তবে, সম্প্রতি দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেন কুণাল। গোটা বিষয়টাই উৎসবের মরশুমে সৌজন্য সাক্ষাৎ মাত্র বলে দাবিও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহাষ্টমীতে আলো ঝলমলে মহানগর