তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে এ বার গ্রেফতার করা হল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদর পর সুজয়কে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) হাজিরা দেন সুজয়। ইডি দফতরে প্রবেশের সময় জানিয়েছিলেন যে, তিনি যথেষ্ট ‘আত্মবিশ্বাসী’। প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরার পর ইডির হাতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে।
অভিযোগ, তিনটি সংস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই তথ্যপ্রমাণ ইডির হাতে ছিল বলে সূত্রের খবর। যদিও অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করতে থাকেন সুজয়।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম। অভিযোগ করা হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতির টাকার বড় অংশ যেত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কাছে। এরপরই তদন্তকারী সংস্থাদের স্ক্যানারে আসেন কালীঘাটের কাকু। যদিও বারবার তিনি দাবি করেছেন, এ বিষয় কিছুই জানেন না।
প্রসঙ্গত, এর আগে সিবিআই সুজয়কে দু’বার তলব করে। প্রথম বার সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরের বার নিজের আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়েছিলেন। গত ৪ মে সুজয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই তল্লাশি অভিযানে সুজয়ের বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। গত ২০ মে সুজয়ের বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি।