কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গিয়ে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এরই মধ্যে এ বার রাজ্যে এলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। মঙ্গলবারই রাজ্যে এসেছেন তিনি।
ইডি সূত্রে খবর, সন্দেশখালি এবং বনগাঁতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে কী ভাবে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। সেই রিপোর্টই ইডি ডিরেক্টরের হাতে তুলে দেবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে কলকাতার ইডির পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে নবীনের। একই সঙ্গে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী আধিকারিক-সহ ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত অন্য ইডি আধিকারিকদের সঙ্গেও একটি বিশেষ বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। এর পরেই তাঁর হাতে ওই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
সন্দেশখালিতে ইডির তল্লাশিতে বাধা পাওয়ার পর চার দিন কেটে গিয়েছে। জানা যায়, হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তিন ইডির আধিকারিককে। এখন দেখার, এ দিনের বৈঠক থেকে পালটা কোনও পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় কি না ইডি।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গেলে সেখানে ইডি আধিকারিকদের গাড়ির ওপর ইট ছোড়ে উত্তেজিত জনতা। ইডি অফিসারেরা গ্রামে পৌঁছনোর আগেই গ্রাম ঘিরে ফেলেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। ডাকাডাকির পর সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। ঠিক সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে মারধর শুরু হয়। তাঁদের গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করেন শাহজাহানের অনুগামীরা। গাড়িতে ইট মেরে ভাঙচুর চলে। একইভাবে পরে বনগাঁতেও ইডির উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেখানে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে একই মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছিল ইডি।
এ দিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও নিখোঁজ। তার নামে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। প্রাথমিকভাবে ইডি মনে করছে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন তিনি। আইবি এবং বিএসএফকে সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল নবীনের কলকাতা সফরের পরে তদন্তে কতটা গতি আসে!
আরও পড়ুন: বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কয়েক ঘণ্টা পরই ‘নিখোঁজ’ ৯!