উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী তরুণ ও লড়াকু যুবনেতা সৃজন ভট্টাচার্য। নাম ঘোষণা হওয়ার পর তেকেই নিয়মিত সকাল থেকেই বাম-কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে জনসংযোগ ও পদযাত্রার মাধ্যমে জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএমের প্রার্থী। বৃহস্পতিবার চাঁদিফাটা গরমেও পায়ে হেঁটে প্রচার সারলেন তিনি।
চৈত্রের তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেই বৃহস্পতিবার বেলায় বারুইপুর পুর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের জয়নগর থানার ঢোষা এলাকায় নির্বাচনী প্রচার সারলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বামপ্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। এ দিন পায়ে হেঁটে, পথচলতি মানুষের সঙ্গে কথা বলে, দোকান-বাজার ঘুরে ঘুরে প্রচার কাজ সারলেন সৃজন।
এ দিন প্রচারের মাঝেই সৃজন বলেন, “আমি পার্টটাইম পলিটিশিয়ান নই, প্যারাসুট প্রার্থী নই, সবসময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত”। “এটা করতে করতে একটু অভিনয়, একটু নাচতে গেলাম বা ইডি দফতরে ছুটে গেলাম, এসব করার প্রয়োজন আমার পড়বে না” বলে জানান সৃজন। তিনি এও জানান, বারুইপুরকে জেলা সদর করতে হবে, মানুষের একশো দিনের কাজের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এইসব অধিকার রক্ষায় মানুষ যাদবপুর কেন্দ্রে তাঁকে জেতাবে বলে জানান সৃজন।
একটা সময় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি কিন্তু এখন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতেই লড়াইয়ে নেমেছেন সৃজন। ফলে কোনো রকমের খামতি রাখছেন না প্রচারে। এখানে বিজেপির প্রার্থী ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সায়নী ঘোষ ও এসইউসিআই প্রার্থী কল্পনা দত্ত নস্কর। চতুর্মুখী লড়াইয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র কার দখলে যাবে সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে ৪ জুন।
আরও পড়ুন: ‘ভোটের পর হয় জেলে, নয় বাংলাদেশে’, আরও ঝাঁঝালো দিলীপ ঘোষ