Homeখবররাজ্যঘটনার পর দিনই আরজি করে সংস্কারের নির্দেশ দেন সন্দীপ ঘোষ, চিঠি প্রকাশ্যে...

ঘটনার পর দিনই আরজি করে সংস্কারের নির্দেশ দেন সন্দীপ ঘোষ, চিঠি প্রকাশ্যে এনে দাবি বিজেপির

প্রকাশিত

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এবার প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, সন্দীপ ঘোষ হত্যাকাণ্ডের ঠিক পরের দিন হাসপাতালের সেমিনার হলের পাশে সংস্কারের নির্দেশ দেন। এই সংস্কারের মাধ্যমে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেন তিনি।

সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ একটি চিঠি শেয়ার করেন, যা সন্দীপ ঘোষের স্বাক্ষরিত বলে দাবি করা হয়েছে। চিঠিটি ১০ অগস্ট তারিখে লেখা, যা ছিল ঘটনার একদিন পর। চিঠিতে সন্দীপ ঘোষ পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের (PWD) নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তারের কক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট শৌচাগারগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। অবিলম্বে সেগুলি মেরামতির ব্যবস্থা করতে হবে।”

এই সংস্কারের নির্দেশ সামনে আসতেই বিজেপি নেতৃত্ব তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যাতে অপরাধস্থলে প্রমাণ লোপাট করা যায়। এরই মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার পরিবারও হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, তাঁদের মেয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল এবং মেয়ের দেহ দেখার জন্য তিন ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়।

প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি হাসপাতালের মরদেহ বিক্রি করতেন। অপরাধের দিন ওই চিকিৎসক ৩৬ ঘণ্টার শিফটে কাজ করছিলেন এবং তখনই সেমিনার হলে তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়।

আরজি কর মামলার শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর, শীর্ষ আদালতের নতুন তারিখ ঘোষণা

এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে এবং বিরোধীরা ক্রমাগত অভিযোগ তুলছেন, হত্যাকাণ্ডের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে।

(চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি খবর অনলাইন)

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

মোবাইল নম্বর নয়, এবার ইউজারনেম দিয়েই চ্যাট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে! আসছে ইনস্টাগ্রাম-স্টাইল ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ইনস্টাগ্রাম-স্টাইল ইউজারনেম ফিচার। মোবাইল নম্বর শেয়ার না করেই চ্যাট করা যাবে। নতুন এই ফিচার দেখা গেছে হোয়াটসঅ্যাপের বিটা ভার্সন ২.২৫.২৮.১২ তে। ইউজারনেম সেট করতে থাকবে কিছু নিয়মও।

সতর্ক থাকুন! পেঁপের সঙ্গে এই খাবারগুলো খেলেই বাড়বে বিপদ

ভিটামিন ও ফাইবারে ভরপুর পেঁপে যতটা উপকারী, ভুল খাবারের সঙ্গে খেলে ততটাই ক্ষতিকর। কমলালেবু, শশা, টমেটো, দই বা মধুর সঙ্গে পেঁপে খাওয়া হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটি ও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

রাজ্যে শুরু টোটোর রেজিস্ট্রেশন, প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০ গাড়ি নথিভুক্ত ! দীপাবলির পর বাড়বে সাড়া আশা পরিবহণ দফতরের

রাজ্যে ব্যাটারি চালিত টোটো ও ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০টি গাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। পরিবহণ দফতর আশা করছে দীপাবলির পর এই সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। রাজ্যে আনুমানিক টোটোর সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি।

২০০২ বনাম ২০২৫! ৭ জেলার ভোটার তালিকায় ৫১% থেকে ৬৫% মিল, কোথায় সবচেয়ে কম জানেন?

রাজ্যের সাতটি জেলায় ২০০২ ও ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার মধ্যে ৫১% থেকে ৬৫% নামের মিল পাওয়া গিয়েছে। সর্বাধিক মিল কালিম্পংয়ে, সর্বনিম্ন ঝাড়গ্রামে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুনভাবে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন

রাজ্যে শুরু টোটোর রেজিস্ট্রেশন, প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০ গাড়ি নথিভুক্ত ! দীপাবলির পর বাড়বে সাড়া আশা পরিবহণ দফতরের

রাজ্যে ব্যাটারি চালিত টোটো ও ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০টি গাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। পরিবহণ দফতর আশা করছে দীপাবলির পর এই সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। রাজ্যে আনুমানিক টোটোর সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি।

২০০২ বনাম ২০২৫! ৭ জেলার ভোটার তালিকায় ৫১% থেকে ৬৫% মিল, কোথায় সবচেয়ে কম জানেন?

রাজ্যের সাতটি জেলায় ২০০২ ও ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার মধ্যে ৫১% থেকে ৬৫% নামের মিল পাওয়া গিয়েছে। সর্বাধিক মিল কালিম্পংয়ে, সর্বনিম্ন ঝাড়গ্রামে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুনভাবে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনে সমস্যার সমাধানে পৃথক হেল্পলাইন চালু করছে রাজ্য সরকার

জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের জটিলতা মেটাতে আসছে নতুন হেল্পলাইন নম্বর। নভেম্বরের মধ্যেই চালু হবে পরিষেবা, জানাল নবান্ন। নাগরিকদের জন্য সহজ, স্বচ্ছ ও দালালমুক্ত রেজিস্ট্রেশন পরিষেবা দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার।