কলকাতা: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ মামলার তদন্তের সময় এনআইএ আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ। একদিন পরে, রবিবার এনআইএ দলের বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআর দায়ের। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এনআইএ-র বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা পুলিশের।
জানা গিয়েছে, এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এনআইএ টিম এবং সিআরপিএফ অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। অভিযোগ, এনআইএ অফিসাররা ওই মহিলার বাড়ির দরজা ভেঙে গভীর রাতে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভূপতিনগরে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্য দিকে, ভূপতিনগর থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে এনআইএ। এসপি সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, এনআইএ-র একটি দল ভূপতিনগর থানায় এসেছিল এবং তাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়। এর আগে এনআইএ-র আরও একটি দল এসেছিল এবং তাদের সঙ্গে কিছু তর্কাতর্কির খবরও পাওয়া গেছে। যদিও এনআইএ-র উপর হামলার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে ঘটনায় প্রকাশ।
শনিবার ঘটনার সময় প্রথমে একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এনআইএ সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতা বলাই মাইতিকে আটক করে মনোব্রত জানার বাড়িতে যখন এনআইএ আধিকারিকরা পৌঁছন, তখন হঠাৎ করে গ্রাম থেকে মহিলা এবং পুরুষ মিলিয়ে কয়েক’শ লোক এনআইএ-র গাড়ি আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনী ভিড় সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে গিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। আদালতের নির্দেশে সেই বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল এনআইএ-র হাতে। আদালতের নির্দেশ মতোই তাঁরা সেখানে তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। তদন্তে গিয়েই হামলার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ এনআইএ আধিকারিকদের। অন্য দিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, পুলিশকে না জানিয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়ে এরকম ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় সরকার ভোটের মুখে তৃণমূল কর্মীদের হেনস্থা করতেই এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুন: জোট অধরা, একে অন্যকে দুষছে বাম-আইএসএফ