খবর অনলাইনডেস্ক: সময় যত এগোচ্ছে একের পর এক চিকিৎসক অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রবিবার রাতে সংকটজনক অবস্থায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ডা. পুলস্ত্য আচার্যকে। গভীর রাতের আপডেট, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। পুলস্ত্যের স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর এমনটাই জানিয়েছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের (এনআরএস) মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জয়দীপ দেব।
সংবাদমাধ্যমকে জয়দীপ বলেন, “পুলস্ত্য আচার্য সাত দিন ধরে অনশনে ছিলেন। টানা অনশনে থাকার ফলে তাঁর মানসিক সচেতনতা কমে যায়। তাঁর অবচেতন হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে না খাওয়ার কারণে তাঁর পেটে ব্যথা হয়।” তিনি আরও বলেন, “সময়মতো তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও এখনও পরিস্থিতি সঙ্কটমুক্ত নয়। সোডিয়াম, পটাশিয়াম পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে তাঁর শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যাসিড বেসের মাত্রার পরিবর্তন হওয়ার ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার জন্য মূলত এই সমস্যাগুলি হয়েছে। তাঁর এখন চিকিৎসা চলছে। আরও নানা রকমের পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। শরীরে জলশূন্যতা রয়েছে। তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও বিপদ কাটেনি।”
জয়দীপ জানান, পুলস্ত্যের চিকিৎসার জন্য এনআরএসে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই দলে রয়েছেন জেনারেল মেডিসিন, চেস্ট, কার্ডিও, নেফ্রো এবং অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরাই পুলস্ত্যের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করছেন। সেই টিমের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া পুলস্ত্য। টানা আট দিন সেখানেই অন্যদের সঙ্গে অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় তলপেটে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। সঙ্গে বমি ভাব ছিল। অনশনমঞ্চে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। জানা যায়, কিটোন বডির পরিমাণও বেড়েছে। তখনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা। পরে তাঁকে এনআরএসে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়।