বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের আমলা এবং পুলিশদের উপর কড়া ভর্ৎসনা করেছেন। বৈঠকে সরকারি জমি ‘বেহাত’ হয়ে যাওয়া এবং বিদ্যুৎ ও পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে সরকারি জমি বেহাত হচ্ছে এবং পুলিশ কেন তা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে, তা নিয়ে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত পুরনিগমের মেয়র, বিভিন্ন দফতরের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জেলাশাসক এবং পুলিশকর্তারা। বেশির ভাগই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন। নবান্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভূমি দফতরের কর্তাদের উপর মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরকারি জমি রক্ষার ক্ষেত্রে ভূমি দফতর ও পুলিশের দায়িত্বে ত্রুটি থাকায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মোমিনপুর-ধর্মতলা মেট্রো জট কাটল, ময়দানে গাছ কাটা নিয়ে মামলা খারিজ হাইকোর্টে
বৈঠকের আনুষ্ঠানিক আলোচনার বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেননি এবং বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারাও মুখ খোলেননি। তবে নবান্নের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই বৈঠকের পর প্রশাসনে বেশ নাড়াচাড়া পড়েছে।
বিদ্যুৎ দফতরের অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার স্পষ্ট নির্দেশ, বিদ্যুতের বিল কমানোর জন্য দফতরের এসি ২৬ ডিগ্রির নীচে চালানো যাবে না। পাশাপাশি, সরকারি প্রতিটি ভবনের মাথায় সোলার প্যানেল বসানোর প্রস্তাব দেন তিনি। বৈঠকে মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুজিত বসু সহ বিভিন্ন দপ্তরের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল দফতরকে আরও ভালোভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এই বৈঠকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের প্রতিটি দফতরকে আরও সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল হতে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে সরকারি সম্পত্তির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা যায় এবং বিদ্যুৎ বিল কমানোর মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনৈতিক সাশ্রয় হয়।