রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর)-র নথি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। বুধবার নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ নথিই এই সমীক্ষায় গ্রহণযোগ্য হবে। সেই তালিকায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নাম নেই।
কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) প্রস্তাব করেছিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এসআইআরের নথি হিসাবে বিবেচনা করা যায় কি না তা পরীক্ষা করার জন্য। কারণ রাজ্যবাসী এই কার্ড পান। তবে বৈঠকে কমিশনের তরফে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, কেবলমাত্র রাজ্যবাসীর পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
বুধবার নির্বাচন কমিশন দেশের সব রাজ্যের সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে জানানো হয়, এসআইআরের জন্য নির্ধারিত ১১টি নথির বাইরে অন্য কোনও নথি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারলে তা কমিশনকে জানাতে পারেন সিইওরা। তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সেই তালিকায় পড়ে না।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আধার কার্ডকে পরিচয়পত্র হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। তবে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে আধার গ্রহণযোগ্য নয়। আপাতত এই নিয়ম কেবল বিহারের ক্ষেত্রে কার্যকর করা হয়েছে। আদালতের স্পষ্ট মত, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আধার ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নয়।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর মাসে, অর্থাৎ পুজোর মরসুমের পরেই, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশ জুড়েই শুরু হতে পারে এসআইআর। বিহারের পরে অন্য রাজ্যে এই প্রক্রিয়া চালু করার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল কমিশন। তবে দিনক্ষণ এখনও নিশ্চিত হয়নি।
আরও পড়ুন: আলিপুর চিড়িয়াখানায় ২৪ ঘণ্টায় দুই বাঘিনীর মৃত্যু, তদন্তে নামল সেন্ট্রাল জু কমিটি