কলকাতা: শনিবার বিকালে ধর্মতলায় আইএসএফ-এর বিক্ষোভে জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। এ দিন আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি ছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। তবে কিন্তু সেই কর্মসূচিতে আসার আগে হাতিশালায় আইএসএফ-এর পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকী আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ধর্মতলা চত্বরে বিক্ষোভ দেখান আইএসএফ কর্মীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
আইএসএফ সমর্থকদের দাবি, এ দিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছিলেন তাঁরা। সেই সময়ে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। ভাঙড়ে এই হামলা হয়। এমনকী আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও হামলার মুখে পড়ে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, পতাকা লাগানোর সময়, তাঁদের কর্মী সমর্থকদের গালিগালাজ ও মারধর করেন আইএসএফ-এর সদস্য়রা। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে।
ঘটনায় প্রকাশ, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে হাতিশালায় পতাকা লাগানোকে ঘিরে বোমা-গুলি চালনার অভিযোগও উঠেছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে আহত হয়েছে চার জন। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই ধর্মতলায় দলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখানোর পর তাঁদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
আইএসএফ কর্মীদের হটাতে ধর্মতলায় মোতায়েন করা হয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। ঘটনায় প্রকাশ, আইএসএফ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের। অন্য দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশের কিয়স্কগুলিতে হামলা চলে। কোথাও কোথাও পুলিশের গাড়িতেও চলে ভাঙচুর। ভেঙে ফেলে দেওয়া হয় গার্ডরেল। অবরোধকারীদের হটাতে ব্যাপক লাঠিচার্জও শুরু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: জোড়াফুলে ফিরছেন হিরণ! তৃণমূল অফিসে বসা ছবি ভাইরাল হতেই মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়ক