বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হলেন হাওড়ার শিবপুরের প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ি। তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
গত বছর অক্টোবর মাসেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অনেকদিন ধরেই আইসিইউ-তে ছিলেন তিনি। এর পর বছরের শুরু থেকেই তাঁর শারীরিক সমস্যাগুলির চিকিৎসা চলছিল বাড়িতেই। কিছুদিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ঘরে ফিরেছিলেন। জানা গিয়েছে, আজ সকালে শিবপুরের অম্বিকা কুণ্ডু বাই লেনে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পরিবারের তরফে জানা যায়, গত বছরই বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। এর জেরে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন জটুবাবু। তারপর থেকেই শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়েছিল তাঁর। সে সময় তাঁর মাথায় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল বলেও জানা যায়।
জটুবাবুর জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৮ এপ্রিল। কংগ্রেস থেকে রাজনীতি শুরু তাঁর। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত শিবপুর বিধানসভা থেকে পাঁচ বার বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবেই শিবপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল তৈরি করার পর তিনি ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। ২০০১, ২০১১ এবং ২০১৬ তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়ে বিধায়ক। মাঝে ২০০৬ সালে ভোটে হেরে যান।
গত বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তবে গেরুয়া শিবিবেও তিনি টিকিট পাননি তবে রাজ্য কমিটিতে জায়গা পান। যদিও শেষপর্যন্ত রাজনীতি থেকে সরে যান।
প্রাক্তন সহকর্মীর মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘তিনি দীর্ঘ দিন আমাদের কর্মী ছিলেন। একসঙ্গে আমরা বহু লড়াই করেছি। ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। ওঁকে আমি শ্রদ্ধা করি।’’
আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধি থেকে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে একগুচ্ছ বড়ো ঘোষণা রাজ্যের