মেদিনীপুর মেডিক্যালে খারাপ মানের স্যালাইন ব্যবহারে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য দফতরের কাছে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে।
কেন্দ্রের কাছে ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট তলব
শুধু রাজ্য নয়, স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে বলেছে আদালত। একই সঙ্গে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিত
সোমবার স্যালাইন-কাণ্ডে দুইটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এবং কৌস্তভ বাগচি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই মামলাগুলি দায়েরের অনুমতি পান। এডুলজি আদালতে জানান, রাজ্যের এক সংস্থার নিম্নমানের স্যালাইনের কারণে কর্নাটকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। কর্নাটক সরকার ওই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করলেও, রাজ্যে একই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে দুর্ঘটনার অভিযোগ উঠছে।
গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঁচ প্রসূতির একসঙ্গে সিজার হওয়ার পরে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরই মধ্যে মামনি রুইদাসের (২২) মৃত্যুর পর, বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান রেখা সাউ। বাকিদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায়, তাঁদের গ্রিন করিডরের মাধ্যমে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
হাই কোর্টের কড়া মন্তব্য
প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, “বিষয়টি ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। রাজ্য সরকার কিছু পদক্ষেপ করেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে আমরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাই। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে।”