কলকাতা: শেষলগ্নে চৈত্র। দোরগড়ায় নতুন বছর। এরই মধ্যে প্রবল গরমে পুড়ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। রবিবার থেকে টানা পাঁচদিন বাংলার বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ বা হিট ওয়েভের পূর্বাভাস দিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন।
আবহাওয়াবিদদের মতে, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়ে ৪০ ডিগ্রি স্পর্শ করলে সেই পরিস্থিতিকে তাপপ্রবাহ বলে ধরা হয়। শনিবারই বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, মুর্শিদাবাদ, আসানসোল, বোলপুর সহ পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জায়গার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। কলকাতা-সল্টলেকেও ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ বার লু বইবে বলে আশঙ্কা।
হাওয়া অফিস সতর্কতা জারি করে বলেছে, ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহ হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা অর্থাৎ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপু-সহ একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গের মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে কমবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। অন্য দিকে, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বাংলার কোনো জেলাতেই।
আবহাওয়াবিদদের মতে, গত বছর গ্রীষ্মের মরশুমে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই আটকে পড়েছিল। তবে এ বার তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৬ সালের এপ্রিলে একাধিক দিনই কলকাতার তাপমাত্রা ৪০-এর উপরে ছিল। তবে ২০১৬ তার পর আর কলকাতার এপ্রিলের তাপমাত্রা চল্লিশে পৌঁছোয়নি।
অনুমান করা হচ্ছে, ১৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না! শুধু তাই নয়, এপ্রিল থেকে জুন অর্থাৎ বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ়ের প্রথম দিকটা দেশের বেশির ভাগ অংশেই দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে। তার মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গও।
সোমবার থেকে গরম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের সতর্কতা, গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। দুপুরের দিকে বাড়ির ভেতরে থাকারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গরম থেকে রক্ষা পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলার পরমার্শ দিচ্ছেন তাঁরা। যেমন সুতির জামা পরতে বলছেন, পাশাপাশি বেশি করে জল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: কুড়মিদের অবরোধে চরমে যাত্রী ভোগান্তি, বাতিল বহু ট্রেন