খবর অনলাইন ডেস্ক: চতুর্থীর সকালে এল দুঃসংবাদ। বাংলার সংস্কৃতিজগৎ হারাল তার এক অমল সন্তানকে। প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি কার্টুনিস্ট অমল চক্রবর্তী। সকাল সাড়ে ১০টায় আরজিকর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে গেল একটা যুগ।
অমল চক্রবর্তীর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আচমকাই কয়েক দিন আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি চিরবিদায় নিলেন।
স্বাভাবিক ভাবেই বয়সজনিত কারণে দৃষ্টিশক্তিও অনেক কমে গিয়েছিল অমলবাবুর। একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি ছিলই না, আর অন্যটিতেও সামান্যই ছিল। তবু কার্টুন থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি কখনও। চোখে চশমা লাগিয়েই তিনি কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলতেন, “এসেছি পৃথিবীতে, যদি মরতেই হয়, তবে কার্টুনিস্ট হয়েই মরব।”
প্রায় ৭০ বছর ধরে কার্টুন এঁকে গিয়েছেন অমল চক্রবর্তী। বাংলার পাঠকেরা খবরের কাগজের প্রথম পাতায় যে পকেট কার্টুন দেখতে অভ্যস্ত, তার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। মূলত রাজনৈতিক কার্টুন আঁকতেন তিনি। তাঁর আঁকা কার্টুনে সামাজিক বার্তাও থাকত।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। অমৃতবাজার পত্রিকা ও যুগান্তর, অমৃতবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর দুটি পত্রিকাতেই কার্টুন আঁকতেন তিনি। এর পর যুগান্তর বন্ধ হওয়ার মুখে চলে আসেন ‘সংবাদ প্রতিদিন’ পত্রিকায়। ১৯৯২ সালে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকেই তিনি সেখানে যুক্ত হয়েছিলেন। ‘সংবাদ প্রতিদিন’ পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হত তাঁর পকেট কার্টুন ‘অমল আলোয়’। অমল আলোয় তিনি চিরদিন থেকে যাবেন আমাদের মধ্যে।