বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপের জন্ম হলেও তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে গভীর বা অতি গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এরপর এটি সোজা উত্তরমুখী হয়ে দেশের অভ্যন্তরে অগ্রসর হবে।
এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গ:
৩১ মে পর্যন্ত দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। বিশেষ করে ২৯ এবং ৩০ মে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে, তবে জলোচ্ছ্বাসের কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ:
৩০ মে-৩ জুন পর্যন্ত টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে ৩০ মে-তে চরম অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
উত্তর-পূর্ব ভারত:
২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত তীব্র বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ২৯ ও ৩০ তারিখে বিশেষ করে অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রভৃতি অঞ্চলে চরম অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
এই নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১২ থেকে ১৩ দিন আগেই বর্ষা ঢুকে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার আগমনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারে।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us