কলকাতা: হাতে মাত্র ক’টা দিন। জানুয়ারিতে শুরু হয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। বুধবারই তারই প্রস্তুতি বৈঠক হয়ে গেল নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী থেকে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।
আগামী নতুন বছরের ৭-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে আয়োজিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা। ১৫ জানুয়ারি রাত থেকে ১৬ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত চলবে পুণ্যস্নান। লক্ষ লক্ষ মানুষ পুণ্যস্নান করতে আসবেন। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, গঙ্গাসাগরে আগত গোটা দেশের মানুষের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার বিষয়টি তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য সরকার।
গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, থাকবে ১১৫০ সিসিটিভির নজরদারি। এছাড়া প্রতিটি জলযানের ওপর নজর রাখতে ব্যবহার করা হবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র প্রযুক্তি। স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং-এর ব্যবস্থা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ভিআইপি-রা পাইলট কার নিয়ে গেলে অযথা অনেক সমস্যা হতে পারে, সে কথা এ দিন মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রয়োজন ছাড়া ভিআইপিদের কনভয় নিয়ে মেলায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কারণ ভিআইপিরা এত ভিড়ে গেলে সমস্যা হবে। এত লোকের মধ্যে কনভয় নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে।”
মমতার কথায়, “গঙ্গাসাগর ভারতের সবচেয়ে বড় মেলা। অন্তত ৪০ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে।” সেখানে আগত দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গঙ্গাসাগরের মাহাত্ম্য বোঝাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”গঙ্গাসাগর মেলা আমাদের গর্ব। পৃথিবীর সব থেকে বড় মেলা। ৪০ লক্ষ মানুষ আসে। এক ঘণ্টা আগে চিড়িয়াখানার সামনে থেকে এলাম। দেখলাম খুব ভিড়। কলকাতা পুলিশ কিছু মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে। ট্রাফিককে আরও ভাল করে দেখতে হবে। পূণ্যার্থীদের জন্য ২২৫০ তো সরকারি বাস, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ ব্যবহার করা হবে। রেলকে অনুরোধ করব মেলার আগে ও পরে বেশি ট্রেন চালাতে। ১৩ থেকে ১৭ বেশি ট্রেন চালাতে হবে।”
আরও পড়ুন: ভোরসকালে কুস্তির আখড়ায় রাহুল গান্ধী, বজরং পুনিয়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে জোর চর্চা