কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের মেগা বৈঠকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, “ধানের একটা পোকা, গোটা ধানটাই নষ্ট করতে পারে। সময় থাকতে পোকাকে নির্মূল না করলে গোটা ধানটাই পোকা নষ্ট করতে পারে”।
এ দিন বক্তৃতা করার সময় মমতা বলেন, “নজরদারি রাখতেই হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা আগে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে যেত। এখন সরাসরি চলে যায়। ফলে আমাদের নজর রাখতে হয়। মনিটরিংয়ের সিস্টেম খুব কম রয়েছে। আমি দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠান নিয়ে বিডিও-সহ সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে সংযোগ রাখি”।
এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘যদি একটা পোকা ধানে জন্মায়, তাকে সমূলে বিনাশ না করলে কিন্তু ওই পোকাটা থেকেই সারা ধানে পোকা লেগে যাবে। সুতরাং, আমাকে পোকাটা আগেই নির্মূল করতে হবে। দেখতে হবে যাতে পোকা না জন্মায়। আর যদি পোকা জন্মে থাকে, তা হলে প্রথমে তাকে সতর্ক করতে হবে। বলতে হবে, ‘হয় নিজেকে সংশোধন করো, না হলে আমাদের অন্য কিছু ভাবতে হবে’। মনে রাখবেন, আমিও দলের ঊর্ধ্বে নই, মানুষের ঊর্ধ্বে নই। আমার উপর মানুষের কী কী দায়বদ্ধতা আছে, তা আমি প্রতি দিন সকাল থেকে রাত মেনে চলি।’’
পাশাপাশি এ দিন নজরুল মঞ্চ থেকে বাম-বিজেপিকে একযোগে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখন রাম-বাম এখন সব এক হয়ে গিয়েছে। আমি কোনওদিন সরাসরি বিজেপি করিনি। বিজেপির মতাদর্শ একটা ধর্মকে ভিত্তি করে। আজ ইতিহাস, ভূগোল ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে, শিক্ষা বদলে দেওয়া হচ্ছে”।
এ দিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আজ দিদির হাত ধরে দিদির সুরক্ষা কবচের সূচনা হচ্ছে। দিদির দূতেরা গিয়ে তা গিয়ে দেখবেন। ২০১১ সাল থেকে সরকার একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প ঘোষণা করেছে। খাদ্যসাথী, বাংলা আবাস যোজনা, নিজ গৃহ নিজ ভূমি, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, মানবিক পেনশন, বিধবা ভাতা, জয় বাংলা পেনশন স্কিমের পেনশন আছে। এই প্রকল্পগুলি অ্যাপের মাধ্যমে বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে দিদির দূতেরা”।