নন্দীগ্রাম : পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল।কেউ কাউকে ছাড়তে রাজি নয় এক ইঞ্চি জমি। বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের পুরনো জমি ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নন্দীগ্রামবাসীর মন জয় করতে ফের চমক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার মধ্যে সংযোগকারী সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা। ওই সেতুর জন্য ডিপিআর তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার টুইটারে এ খবর প্রকাশ করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি তিনি বলেন, “ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, সেটাই করে দেখালেন।”
প্রসঙ্গত, হলদি নদীর দুই পাড়ে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়া। কর্মসূত্রে প্রায়ই দুই পাড়ের মানুষকেই অন্য তীরে আসা যাওয়া করতে হয়। দুই পাড়ের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল ফেরি পরিষেবা। অনেক সময়ই ফেরি চলাচলের সময় যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রাখা হয় না বলে অভিযোগ। সড়কপথে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে গেলে নন্দকুমার দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। কিন্তু এতে সময় লাগে অনেকটা বেশি। সেই কারণে দুই পাড়ের মধ্যে সংযোগকারী সেতু তৈরি হলে তাতে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে সময়ও কম লাগবে ও টাকাও বাঁচবে। সে কারণেই দীর্ঘদিন ধরেই এই সেতুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। নয়া সেতু তৈরি হলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নয়া সিদ্ধান্তে খুশি এলাকাবাসী।