দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নায়ডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কের সাফল্যের মুকুটে যোগ হল নয়া পালক। ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ জুস অ্যান্ড অ্যাকুয়ারিয়ামস’ (World Association of Zoos and Aquariums, WAZA) সংরক্ষণ ও পরিবেশ সংক্রান্ত যে পুরস্কার (Conservation & Environmental Sustainability Award) দেয় তার জন্য মনোনীত হয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। সেরা ৩ ফাইনালিস্টের তালিকায় নাম রয়েছে এই চিড়িয়াখানার। পদ্মজা নায়ডু চিড়িয়াখানাকে রেড পান্ডার প্রজনন সংক্রান্ত প্রকল্পের জন্যই এই পুরস্কারের অন্যতম ফাইনালিস্ট হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারতের আর কোনো চিড়িয়াখানায় রেড পান্ডার প্রজনন সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ হয় না।
আগামী ৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির টারোঙ্গো চিড়িয়াখানায় ৭৯তম ওয়াজা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পুরস্কারবিজয়ীর ঘোষণা করা হবে।

পদ্মজা নায়ডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে ২টি নবজাতক রেড পান্ডা। ছবি ‘এক্স’ থেকে নেওয়া।
২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নায়ডু চিড়িয়াখানায় রেড পান্ডার প্রজনন ঘটানো হয়। চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া ৭টি মেয়ে ও ২টি পুরুষ রেড পান্ডার শাবক জন্মায়। সেগুলোকে পরে ছাড়া হয় পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গালিলা জাতীয় অভয়ারণ্যে। এর মধ্যে ৩টি মেয়ে রেড পান্ডা জঙ্গলে ৫টি শাবকের জন্ম দিয়েছে। দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধানে সিকিমের গ্যাংটক চিড়িয়াখানা ও ইটানগর চিড়িয়াখানাতেও জন্ম নিয়েছে রেড পান্ডা।
শুধু রেড পান্ডাই নয় দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নায়ডু চিড়িয়াখানাতেই গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া স্নো লেপার্ড আছে। গত ৩০ বছর ধরে স্নো লেপার্ডের সংরক্ষণে কাজ করে চলেছে দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানা। এর জন্য ‘ওয়াজা’ (WAZA) দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানাকে পুরস্কৃতও করেছে। এখন এই চিড়িয়াখানায় ১৯টি রেড পান্ডা রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি শাবক এ বছরই জন্মেছে।