আবারও কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন আলু ব্যবসায়ীরা, যার জেরে আসন্ন সপ্তাহের শুরু থেকেই বাজারে আলুর জোগানে টান পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবি, রাজ্যের দুই মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় এবং ভিনরাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে পুলিশের হেনস্তার প্রতিবাদে তারা এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
গত জুলাই মাসে আলু ব্যবসায়ীরা প্রথমবারের মতো কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন, যা বাজারে সাময়িক সংকট সৃষ্টি করেছিল। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বৈঠকে, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, সরকার আলু ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে কিনবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু সেই বৈঠকের পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
এছাড়াও, ভিনরাজ্যে আলু পাঠানোর সময় রাজ্যের সীমান্তে আলুবোঝাই ট্রাকগুলিকে আটকে রাখার এবং ব্যবসায়ীদের হেনস্তা করার অভিযোগও তুলেছেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়। এসবের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা ফের ধর্মঘটের পথে হাঁটছেন।
স্মার্টফোন, টিভি, ল্যাপটপের স্ক্রিনে বুঁদ ভারতের শিশুরা, কোন কোন অসুখ হতে পারে?
এদিকে, রবিবার হিমঘরগুলি বন্ধ থাকার কারণে সোমবার থেকে আলু সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে বাজারে আলুর জোগান কমে যাবে এবং দামের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। রাখি বন্ধনের দিনে এই সংকটের কারণে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা আলুর পদ রান্না করতে সমস্যায় পড়তে পারেন।