কলকাতা: রেশন বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার ইডি-র। ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে।
গত শুক্রবার সাতসকালেই বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি শঙ্করের শ্বশুরবাড়ি, ভাইয়ের কারখানা ও দুই কর্মচারীর বাড়িতেও একযোগে অভিযান চালায় ইডি। গভীর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইডি। সকাল থেকে প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
তৃণমূল নেতার স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যর দাবি, সকাল থেকে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর না কি রাতে হঠাৎ, তাঁদের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সংক্রান্ত একটি কাগজ দেখানো হয়। এর পরই না কি বলে দেওয়া হয়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
ইডি-র দাবি, ধান-চাল-গম কেনাবেচা নয়, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা কোন পথে, কী ভাবে ঘুরিয়ে সাদা করা হবে, সেই পরিকল্পনায় শঙ্কর আঢ্যর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
শোনা যায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রাজনীতিতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত শঙ্কর আঢ্য। ২০১১ সালে জ্যোতিপ্রিয় যখন খাদ্যমন্ত্রী হন, তখন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শঙ্কর আঢ্যর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য। এর পর ২০১৫ সালে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হন শঙ্কর আঢ্য। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনীতির সুবাদে গত এক দশক ধরে আঢ্য পরিবারের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র বেশ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
পাশাপাশি, একাধিক ব্যবসাও রয়েছে শঙ্করের। কলকাতা, বনগাঁ ও পেট্রাপোল সীমান্তে তাঁর বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, একসময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ধুর সিন্ডিকেট চালাতেন শঙ্কর। বনগাঁ এবং বাগদায় তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। বনগাঁ শহরে রয়েছে হোটেল। এর বাইরে বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বিপুল সম্পত্তিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’ জোটের আহ্বায়ক পদে কে? খড়্গে-রাহুলের সঙ্গে কথা নীতীশের