অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে একের পর এক সরকারি হাসপাতালে গণইস্তফা দিচ্ছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। আরজি কর এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পর এবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তারেরাও ‘গণইস্তফা’র পথে হাঁটলেন। বুধবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৩৪ জন সিনিয়র ডাক্তার একযোগে ইস্তফাপত্রে স্বাক্ষর করেন। এই ঘটনার ফলে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ন্যাশনাল মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তারদের পদত্যাগের পর এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকেও হুঁশিয়ারি আসছে যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ না করা হলে সেখানকার সিনিয়র ডাক্তারেরাও ‘গণইস্তফা’ দেবেন। কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তারেরাও একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে আছেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৭৫ জন সিনিয়র ডাক্তার গণইস্তফা দিয়েছেন। এ দিন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি সিএনএমসি থেকে আরও ৩৫ জন ডাক্তারও ইস্তফা দিয়েছেন। এই ঘটনার আঁচ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
শিয়ালদহের এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে একটি বিবৃতিতে সিনিয়র চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, “আমরা এত দিন রোগীদের সর্বাত্মক পরিষেবা দিয়ে এসেছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। জুনিয়র ডাক্তারদের সমস্ত ন্যায্য দাবি আমরা সমর্থন করি। তাদের অনশন ও দাবির প্রতি আমরা সম্পূর্ণ সহমত।”
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অন্তত ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণইস্তফা দিয়েছেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও সিনিয়র ডাক্তারদের গণইস্তফার প্রস্তুতি চলছে বলে সূত্রের খবর। কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজও এই একই পথে হাঁটতে পারে।