উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: সারা রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার দুর্নীতি রুখতে এ বার সরাসরি মাঠে নেমেছে প্রশাসন। বিডিও-সহ তাঁর দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকরা উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করছেন প্রকৃতপক্ষে এই ঘর পাওয়ার জন্য ওই ব্যক্তি যোগ্য কিনা। কাগজপত্র পরীক্ষা থেকে শুরু করে সরাসরি উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে সবকিছু পর্যালোচনা করে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে জেলা পঞ্চায়েত দফতরে। ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সুপার চেকিং প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।
সোমবার কুলতলির জালাবেড়িয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতের ১২টি উপভোক্তার বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করেন কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অফিসের বিভিন্ন আধিকারিক, যাঁরা উপভোক্তাদের ঘর পরিদর্শন করে নিশ্চিত করছেন যে প্রকৃত দাবিদাররা আবাস যোজনার ঘর পাচ্ছেন।
কুলতলি ব্লকের অধীনে থাকা ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত, যেগুলি নদী বেষ্টিত উপকূলবর্তী এলাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। মূলত মৎস্যজীবী ও কৃষিজীবী পরিবারগুলোর বসবাস এই এলাকায়, যেখানে বহু মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিন রাজ্যে যান জীবিকার সন্ধানে। এখানকার মাটির বাড়িগুলোর দুর্বলতা এবং এলাকার অনুন্নত অবস্থার কারণে পাকা বাড়ির প্রয়োজন অত্যন্ত জরুরি।
বিডিও সুচন্দন বৈদ্য জানান, “আমার ব্লকে আবাস যোজনার জন্য জেলা থেকে ২১,১২৬ জনের নামের তালিকা এসেছে। সোমবার পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি উপভোক্তার বাড়িতে চেকিং সম্পন্ন হয়েছে। তৎপরতায় দ্রুত কাজ চলছে, ভুল তথ্য থাকলে তা বাতিল করা হচ্ছে।”
সরকারের এই উদ্যোগকে আবাস যোজনার স্বচ্ছতা আনার বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন এলাকাবাসী।