Home রাজ্য দঃ ২৪ পরগনা আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় বজবজের সুস্মিত নস্করের নজির, দুটি স্বর্ণপদক জয়

আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় বজবজের সুস্মিত নস্করের নজির, দুটি স্বর্ণপদক জয়

0

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্য়ায়: বিশ্ব দরবারে আবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাম উজ্জ্বল করল বজবজের সুস্মিত নস্কর। মাত্র দশম শ্রেণির এই প্রতিভাবান ছাত্র আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় দুটি স্বর্ণপদক জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বজবজ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নস্করপাড়ার বাসিন্দা, যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের ছাত্র সুস্মিত আগেও আন্তর্জাতিক স্তরে স্বর্ণপদক জিতেছে, আর এবার তার ঝুলিতে যোগ হলো আরও দুটি সোনার পদক।

বিশাখাপত্তনমে ইউনিভার্সাল যোগা স্পোর্টস ফেডারেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যোগা বিশ্বকাপে ১৪-১৭ বছর বয়সি বিভাগে অংশ নিয়ে সে সোনা জয় করে। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুরে আয়োজিত ‘এশিয়া যোগা ফেডারেশন’-এর দশম এশিয়া কাপে সে দ্বিতীয় স্বর্ণপদক অর্জন করে। এই প্রতিযোগিতায় ১২টি দেশের ৫০ জন প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল সুস্মিত এবং যোগা ট্র্যাডিশনাল বিভাগে স্বর্ণপদক জিতে দেশের সম্মান বাড়িয়েছে।

শুধু স্বর্ণপদকই নয়, সুস্মিত আরও দুটি রুপোর পদক এবং একটি ব্রোঞ্জ পদকও জিতেছে—একটি রুপো সে পেয়েছে আর্টিস্টিক সোলো ইভেন্টে এবং অন্যটি যৌথ বিভাগে।

মাত্র সাত বছর বয়সে যোগার প্রতি আগ্রহ জন্মায় সুস্মিতের। ধাপে ধাপে জেলা, রাজ্য ও জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জনের পর এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করল সে।

তবে এই সাফল্যের পথে সুস্মিতকে একাধিক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার বাবা স্বপন নস্কর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন, ফলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের খরচ জোগাড় করা অনেক সময় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই অবস্থায় পরিবারের আবেদন, যদি কোনো সুহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে সুস্মিত ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য অর্জন করতে পারবে।

পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বজবজের বিধায়ক অশোক দেবও। তার সাহায্য সুস্মিতের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুস্মিতের মা।

যোগার পাশাপাশি সুস্মিতের ভালোবাসা রয়েছে আঁকার প্রতি, তবে ব্যস্ততার কারণে এখন তাতে সময় দিতে পারে না।

আন্তর্জাতিক স্তরে দেশকে গর্বিত করায় শুধু সুস্মিতের পরিবার নয়, গর্বিত সমগ্র বজবজের মানুষ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সুস্মিতের এই সাফল্য ভবিষ্যতে আরও তরুণদের অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version